ফরিদপুর সদর উপজেলার সিএন্ডবি ঘাট এলাকায় সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে মিলছে অবৈধ গরুর হাট। সরেজমিনে গেলে জানা যায়, গেল পবিত্র ঈদুল আযাহা উপলক্ষে গরুর হাট মিলানোর জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে প্রাথমিক নির্দেশনা দিলেও বর্তমানেও মেলানো হচ্ছে এই গরুর হাট। ভোক্তা যাতে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে গরু ক্রয় করে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারে সে উপলক্ষ্যেই মুলত এই হাট মেলানো প্রাথমিক নির্দেশনা দিয়েছিল ফরিদপুর জেলা প্রশাসন। কিন্তু ঈদুল আযহা শেষ হয়ে গেলেও বন্ধ হয়নি এই গরুর হাট। কিছু অসাধূ গরুর দালাল ব্যবসায়ীরা নিজেদের ব্যক্তি স্বার্থ হাসিল এর উদ্দেশ্যেই বর্তমানে এই অবৈধভাবে হাটটি পরিচালিত করে আসছে। সিএন্ডবি ঘাট এলাকার অসাধূ ব্যবসায়ী আলমগীর ফকির এর নেতৃত্বে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে এই গরুর হাট বসে আসছে বলে জানা যায়। এ ব্যাপারে ফরিদপুর পৌর মেয়র শেখ মাহাতাব আলী মেথু বলেন, ঐতিহ্যবাহী টেপাখোলা গরুর হাটটি দীর্ঘকাল ধরে ইজারার মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে আসছে। ইতোমধ্যে সিএন্ডবি ঘাট এলাকায় একটি গরুর হাট মিলছে। যা ইউনিয়ন পর্যায় থেকে কোন ইজারা দেওয়া হয়নি, বা কোন দপ্তর থেকে ও অনুমোদন নেওয়া হয়নি। হাট কর্তৃপক্ষ অবৈধ ভাবেই সিএন্ডবি ঘাট এলাকায় প্রতিনিয়ত গরুর হাটটি বসিয়ে আসছে। এ ব্যাপারে টেপাখোলা হাটের ইজাদার ও পরিচালক এম,এ, ছালাম লাল এ সাথে কথা হলে তিনি বলেন, সাড়ে ৪ কোটি টাকা দিয়ে ১ বছরের জন্য পৌরসভা কর্তৃক ইজারা নিয়েছি। করোনাকালীন সময়ে প্রায় ১০টি গরুর হাট আমরা মিলাতে পারিনি। এতে আমরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি। তারমধ্যে অবৈধ একটি হাট মিলেছে সিএন্ডবি ঘাট এলাকায়, যার দুরত্ব টেপাখোলা গরুর হাট থেকে মাত্র ২ কিলোমিটার। অবৈধ গরুর হাটের ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মাসুম রেজার জানান, ঈদুল আযহা উপলক্ষে জেলা প্রশাসক মহোদয় এর এখতিয়ারে অস্থায়ীভাবে সিএন্ডবি ঘাট এলাকায় গরুর হাট বসানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিন্তু ঈদ পরবর্তিতে এই হাট পুনরায় চালু করা হয়েছে কিনা সে ব্যাপারে আমাদের জানা ছিল না। তবে আমরা এই হাট মেলানোর ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় বা বিভাগীয় কমিশনার মহোদয়ের কর্তৃক কোন তথ্য আসেনি, সেই হিসাবে এই হাটটি অবৈধ।