ফরিদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ফাহিনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ ও সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আফজালুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে প্রকাশিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফরিদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ফাহাদ বিন ওয়াজেদ ফাইনকে সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় সংসদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক অব্যাহতি প্রদান করা হলো। ফাহাদ বিন ওয়াজেদ ফাইন বর্ধিত ফরিদপুর পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের শোভারামপুর মহল্লার ব্যাপারী পাড়া এলাকার বাসিন্দা। তার বাবা ওয়াজেদ ব্যাপারী ইউনিয়ন জামায়াতের আমির এবং মা রোকেয়া বেগম কোতোয়ালি জামায়াতের রোকন। জানা যায়, বিভিন্ন অপকর্মের মহানায়ক হিসাবে নিজেকে জরিয়ে দীর্ঘ দিন যাবত সন্ত্রাসের রাম রাজত্ব কায়েম করে শুধু ত্রাসেরই সৃষ্টি করেছে চলেছে এই ফাহিন। ফরিদপুর তথা দেশকে কলুষিত করার যে ধীঢ় প্রত্যয় নিয়ে, জঘন্য অপরাধ করে চলেছে তা সকলের কাছে এক ভয়ঙ্কর বিস্ময় এর সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের নাম ভাঙ্গিয়ে ফরিদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ দখল করে তার অপকর্ম চালিয়ে গেছেন। সন্ত্রাসী প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের টেন্ডার দখল, ভূমী দখল, বালু উত্তোলন করা ছিল এই ফাহিনের অন্যতম উদ্দেশ্য। তদবির বানিজ্য করে, কাজ বা চাকরি দেবার নামে প্রতারনার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা নিলেও চাকরী না পেলে টাকা ফেরত চাইবার উপায় নেই এই সাধারন সম্পাদকের কাছে। এদিকে মাদক ব্যবসায়ী হিসাবে ফরিদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ফাহাদ বিন ওয়াজেদ ফাইন এর নাম ফরিদপুর বাসি সবাই এক নামে চিনে। কিছু শীর্ষ সন্ত্রাষী মাদক সেবিদের সাথে রয়েছে তার গভীর সম্পর্ক। তার ডেরায় গিয়ে মাদক সেবিরা তাকে নিয়ে মদ,জুয়া,মেয়েসহ বিভিন্ন অপকর্মে মেতে উঠে। সবসময় ইয়াবা সেবনে নিজেকে ব্যাস্ত রাখেন, যেন মনে হয় ইয়াবা ছাড়া তার চলেই না! এখনো তাকে মেডিকেল টেস্ট করলে তার মাদক সেবনের সত্যতা পাওয়া যাবে বলে মনে করছে সচেতন মহল। এই ফাহাদ বিন ওয়াজেদ ফাহিন এর মাধ্যমে ফরিদপুর থেকে বড় বড় ইয়াবার চালান তার হাত দিয়ে হস্তান্তর হয়েছে বলে নির্ভর যোগ্য সূত্রে জানা যায়। এদিকে সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ এর রুকসু ভবন ছিল তার নিয়ন্ত্রনে। কলেজ ক্যাম্পাসে মাদকের ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপকর্মের অন্যতম যায়গা বেছে নিয়ে ছিলেন রুকসু ভবন। কখনো ছাত্রসমাজ যদি এর প্রতিবাদ করত তাহলেই তার উপর নেমে আসত নির্যাতনের কালো ছায়া। রুকসু ভবনে জোড় করে ধরে এনে ইচ্ছামত টর্চার করে নিজের পৈচাশিক আনন্দ মেটাতো। নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেক নেতৃবৃন্দ জানান, ফরিদপুর জেলা ও শহর স্বেচ্ছাসেবকলীগ এর সকল নেতৃবৃন্দ এই ফাহিনের কথায় ওঠবোশ করত। তার কথা কেউ অমান্য করতে পারত না। এব্যাপারে ফরিদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শওকত আলী জাহিদের সাথে কথা তিনি জানান, কেন্দ্রীয় কমিটির অনুমোদনে ফাহিনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। যদি কেউ অপরাধ করে তার দায়ভার দল নিবেনা। কেন্দ্রীয় কমিটি যে সিন্ধান্ত নিয়েছে সেটাই চুড়ান্ত সিন্ধান্ত। শহর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক এটিএম জামিল তুহিন বলেন, কেউ যদি দলের নিয়ম বহি:র্ভুত কাজ করে তার দায়ভার কখনোই দল নিবেনা। তার বিরুদ্ধে দলের সিন্ধান্তই চুড়ান্ত সিন্ধান্ত। ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান বিপিএম বলেন, গত ৭ জুন রাত থেকে ফরিদপুরে শুরু হওয়া পুলিশের বিশেষ অভিযান ও পরবর্তীতে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় দায়ের করা বিভিন্ন মামলায় ফাইনের নাম রয়েছে। ফাইনকে আমরা খুঁজছি, তবে তিনি পলাতক রয়েছেন। তাই দ্রত এই দুর্ধর্ষ অপরাধী ফরিদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের অব্যহতি প্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ফাহাদ বিন ওয়াজেদ ফাইনকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওয়তায় এনে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ফরিদপুরবাসি। উক্ত অভিযোগের ব্যাপারে সত্যতা জানান জন্য ফরিদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের অব্যহতি প্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ফাহাদ বিন ওয়াজেদ ফাইন এর মুঠোফোনে একাধীকবার ফোন করা হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।