ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ভিসি ও ট্রেজারার- এই গুরুত্বপূর্ণ দুই পদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার। পদ দুটিতে কে আসছেন তা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে নানা গুঞ্জন। ২০ আগস্টের মধ্যে ইউজিসি থেকে কোনো নির্দেশনা না আসলে পদ দুটি শূন্য থাকবে।
আজ ২০ আগস্ট বৃহস্পতিবার মেয়াদ শেষ হলেও গতকাল বুধবার সর্বশেষ কার্যদিবস ছিল তাদের। শেষ কার্যদিবসে স্মারক গ্রন্থ উন্মোচন, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ফাইল স্বাক্ষর করা ছাড়াও শুভাকাঙ্ক্ষীদের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাতের মাধ্যমে ব্যস্ত সময় পার করেছেন দুজনই।
ইবি ভিসি প্রফেসর ড. রাশিদ আসকারী বলেন, ‘আমি একে সমাপ্তির স্বস্তি মনে করছি। কারণ এর আগে কেউ এ পদে মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেনি, আমি সফলভাবে সেটা পেরেছি। আমার উপরে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর অর্পিত দায়িত্ব যথাসাধ্যভাবে পালন করার চেষ্টা করেছি। কতটুকু সফল হয়েছি তা বিচারের দায়িত্ব সবার উপরে ছেড়ে দিলাম। তবে আমাকে সার্বিক সহযোগিতার জন্য রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী ও ইউজিসিসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞ। পাশাপাশি আমার সব শিক্ষকবৃন্দ, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, বিশেষ করে আমার সকল ছাত্রছাত্রীদের প্রতিও কৃতজ্ঞ। আমার চলার পথে সবচেয়ে বড় প্রেরণা হল আমার প্রাণ প্রিয় ছাত্র-ছাত্রী। তাদের দিকে তাকিয়েই আমি কঠোর পরিশ্রম করেছি, কতটুকু সফল সেটা বলবো না তবে বিশ্ববিদ্যালয়কে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করার মতো একটা স্থানে নিয়ে যেতে পেরেছি। আমার চার বছরের এ কর্মকাণ্ড আমার প্রিয় শিক্ষার্থীদের প্রতি উৎসর্গ করলাম। তারাই আমার মূল চালিকা শক্তি।’
ট্রেজারার প্রফেসর ড. সেলিম তোহা বলেন, আমার অতি পরিচিত জনেরা জানেন আমি সবসময়ই নীরবে নিঃশব্দে কাজ করে যেতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাগার এবং সম্পদের রক্ষণাবেক্ষণের যে গুরু দায়িত্ব আমার ওপর অর্পণ করেছিলেন তা সাধ্যের শেষ বিন্দু দিয়ে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করতে চেষ্টা করেছি। প্রতিটি কাজের মূল্যায়ন আমার নিজের কাছে আমার বিবেকের কাছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে আমার ভূমিকার সবাই জীবন্ত সাক্ষী। বিশ্ববিদ্যালয়ের যে বড় বাজেট ঘাটতি ছিল তা শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসার আমার বড় সাফল্য বলে আমি মনে করি।