গত কয়েক দিন ধরে দেশের উত্তর ও পূর্বাঞ্চল থেকে বন্যার পানি নেমে যাচ্ছে। বানের পানির চাপ বেশি থাকায় মধ্যাঞ্চলে জমা হওয়া পানি নামতে পারছে না। বিশেষ করে ঢাকা জেলাসহ রাজধানীর আশপাশের পানি গত চার দিন ধরে স্থিতিশীল রয়েছে।
পানি হ্রাসের এই ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী তিন-চার দিনে বেশ কিছু জেলা বন্যামুক্ত হতে পারেন। কিন্তু ৯ আগস্টের পর এক সপ্তাহে ভারতের পূর্বাঞ্চলে প্রায় এক হাজার মিলিমিটার বৃষ্টি হতে পারে। এতে ১২ আগস্টের দিকে উত্তরাঞ্চল ফের বন্যাকবলিত হতে পারে। চলতি বন্যায় এখন পর্যন্ত ৩৩ জেলার ৫৪ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
পানিবন্দি অঞ্চলে খাদ্য সংকট ও বিশুদ্ধ পানির অভাব দেখা দিয়েছে। বানভাসিদের খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে। পানি কমলেও বন্যার্ত মানুষ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ও ওষুধের দাবি জানান তারা। মাদারীপুরে আড়িয়াল খাঁ নদীতে ভেঙে গেছে শহররক্ষা বাঁধ। এতে ভাঙনের হুমকির মুখে শহরের শত শত স্থাপনা।
বুয়েটের পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনা ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক ড. একেএম সাইফুল ইসলাম বলেন, বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এতে বেশির ভাগ আর্দ্রতা চলে যাচ্ছে মিয়ানমারের দিকে। এ কারণে গরমের অনুভূতি বেড়েছে। ভারতের পূর্বাঞ্চলে ভারি বৃষ্টিপাত নেই। তবে ৯ আগস্টের পর ১৪ আগস্ট পর্যন্ত প্রায় এক হাজার মিলিমিটার বৃষ্টি হতে পারে।
ফলে বিদ্যমান ধারায় কয়েক দিনে ব্রহ্মপুত্র-যমুনায় পানি বেশ নেমে গেলেও ১২ আগস্টের দিকে ফের বন্যা হতে পারে। তিনি আরও বলেন, ঢাকাসহ রাজধানীর আশপাশে পানি এসেছে বলতে গেলে অনেকটা চুইয়ে চুইয়ে। প্রাকৃতিক খাল-নদী-নালা ভরাট হয়ে গেছে।
এ কারণে যে সময় নিয়ে পানি এসেছে, সেই একই সময় লাগবে নামতে। তাছাড়া পূর্ণিমার জো ও নিম্নচাপের কারণে সাগর অনেক উত্তাল। তাই পানি নেমে যাওয়ার গতিও তুলনামূলক কম। সব মিলে ঢাকার আশপাশ থেকে পানি আশানুরূপ নামতে পারছে না। আরও অন্তত ১০ দিন রাজধানীর নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি থাকতে পারে।
সরকারের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র (এফএফডব্লিউসি) বলেছে, উত্তরাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। ২৪ ঘণ্টা ধরে বানের পানি নামছে। আরও ৭২ ঘণ্টা এ ধারা অব্যাহত থাকতে পারে। ঢাকার চার দিকে নদ-নদীতে সর্বশেষ ৩১ জুলাই বানের পানি বেড়েছিল। এ কারণে ওইদিন বন্যা পরিস্থিতি আগের চেয়ে অবনতি ঘটে। ১ আগস্ট থেকে গত চার দিন পরিস্থিতির আর অবনতি ঘটেনি। তবে উন্নতিও হয়নি। পরিস্থিতি স্থিতিশীল আছে।
এ মুহূর্তে দেশের ১৭টি প্রধান নদী অন্তত ২৭ স্থানে বইছে বিপদসীমার উপরে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ভেতরে কক্সবাজারে সর্বোচ্চ ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টির রেকর্ড করা হয়েছে। সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের আটটি স্থানের মধ্যে আছে চট্টগ্রাম। সেখানে ৫১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
এফএফডবিউসির তথ্য অনুযায়ী, ঈদের ছুটিতে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি-অবনতির মধ্যে ছিল। উত্তরাঞ্চলের নদী ব্রহ্মপূত্রে ৩১ জুলাই পানি স্থিতিশীল ছিল আর যমুনায় নামতে শুরু করেছিল। কিন্তু ঈদের দিনই আবার পানি বেড়ে যায় ব্রহ্মপুত্রে।
এতে যমুনার পানি স্থিতিশীল হয়ে পড়ে। ঈদের পরদিন ২ আগস্ট আবার উজান থেকে পানি আসা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে স্থিতিশীল ছিল ব্রহ্মপুত্রের পানি। আর ব্রহ্মপুত্র থেকে নেমে আসা পানি যমুনা পাড়ের জেলাগুলোতে বন্যা পরিস্থিতি অবনতি ঘটায়। ভারতের পূর্বাঞ্চলে ভারি বৃষ্টিপাত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ৩ আগস্টও ব্রহ্মপুত্রে নতুন করে আর আসেনি বানের পানি। ফলে ব্রহ্মপুত্রের পানি যমুনায় নামতে শুরু করে। এতে যমুনার পরিস্থিতি আগের দিনের মতোই স্থিতিশীল থাকে। মঙ্গলবার এসে অবশ্য উভয় নদীর পানিই নামতে শুরু করেছে ভাটির দিকে।
অপর দিকে উজান থেকে না আসায় ঈদের আগের দিন বা ৩১ জুলাই কুশিয়ারা বাদে আপার মেঘনা অববাহিকার নদ-নদীগুলোতে পানির সমতল স্থিতিশীল ছিল। ঈদের দিন থেকে শুরু হয় এ অববাহিকার বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি। মঙ্গলবার পর্যন্ত একটানা চারদিন পানি নামছে এ অববাহিকাভুক্ত বন্যাকবলিত জেলা থেকে।
ব্রহ্মপুত্র-যমুনা অববাহিকার পানি রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে এসে পদ্মায় প্রবাহিত হয়। এই পয়েন্টে গঙ্গা থেকে আসা পানিও পদ্মায় প্রবাহিত হয়। অপর দিকে আপার মেঘনা অববাহিকার পানি এবং পদ্মার পানি এসে যুক্ত হয় চাঁদপুরে মেঘনায়। ব্রহ্মপুত্র-যমুনা, আপার মেঘনা এবং গঙ্গা-পদ্মার পানি বৃহত্তর মধ্যাঞ্চলে বন্যার একমাত্র কারণ। ৩১ জুলাই থেকে ব্রহ্মপুত্র-যমুনার পানি হ্রাস-বৃদ্ধি এবং আপার মেঘনার পানি হ্রাসের কারণে তা এসে বৃহত্তর মধ্যাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।
এফএফডব্লিউসির তথ্য বলছে, ৩১ জুলাই থেকে ২ আগস্ট পর্যন্ত তিন দিন গঙ্গা-পদ্মার পানি মেঘনা হয়ে বঙ্গোপসাগরে নামছে। ফলে এই অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হচ্ছিল। কিন্তু গত দু’দিন ধরে পরিস্থিতি স্থিতিশীল আছে। অর্থাৎ, উজান থেকে বানের পানি আসায় পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে।
নদী অববাহিকাগুলোতে পানি প্রবাহের এই পরিস্থিতি অবশ্য ঢাকা জেলার আশপাশের নদ-নদীতে তেমন একটা ইতিবাচক প্রভাব ফেলেনি। ঈদের আগের দিনও এই জেলার নদ-নদীর পানির সমতল বৃদ্ধি করে। এরপর গত চার দিন পানি আর বাড়েনি। কিন্তু প্রধান নদীগুলো থেকে পানি কমলেও এই জেলার নদ-নদীতে পানি একই অবস্থায় আছে। ফলে ঢাকা জেলাসহ রাজধানীর নিম্নাঞ্চলের মানুষ এখনও পানিবন্দি।
এমন পরিস্থিতিতে এফএফডব্লিউসি বলছে, মোট ১৮ জেলা বন্যাকবলিত আছে। এর মধ্যে মুন্সীগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, চাঁদপুর, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে আরও অন্তত ২৪ ঘণ্টা। কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বগুড়া, জামালপুর, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, নওগাঁ, নাটোর, মানিকগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হতে পারে।
এদিকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর ২ আগস্ট প্রকাশিত প্রতিবেদনে বন্যা উপদ্রুত জেলা ৩৩টি হিসেবে উল্লেখ করেছে। উল্লিখিত ১৮টির বাইরে আরও আছে, লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, সুনামগঞ্জ, সিলেট, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, হবিগঞ্জ, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, মৌলভীবাজার, গাজীপুর, গোপালগঞ্জ ও পাবনা।
সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, এসব জেলার ১৫৮ উপজেলার এক হাজার ইউনিয়ন উপদ্রুত। এতে সাড়ে ১০ লাখের বেশি পরিবার পানিবন্দি। বন্যায় মোট ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ৫৪ লাখ ৪৮ হাজার ২৭১ জন। বন্যায় এ পর্যন্ত ৪১ জন মারা গেছেন। ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারিভাবে বিভিন্ন ধরনের সহায়তা অব্যাহত আছে।
ব্রেকিংনিউজ প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) : সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় যমুনা নদীর পানি ২ দিন সামান্য বৃদ্ধির পর মঙ্গলবার সকালে ৯ সেন্টিমিটার কমেছে। তবে এখনও বিপদসীমার ৩১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে শাহজাদপুর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে।
শেরপুর : শেরপুরের বন্যার পানি কমা অব্যাহত থাকায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। তবে নিম্নাঞ্চলের অনেক এলাকা এখনও তলিয়ে রয়েছে। শেরপুর ব্রহ্মপুত্র সেতুর কাছে ব্রহ্মপুত্রের পানি গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচ সেন্টিমিটার কমে তা এখন বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গাইবান্ধা : গাইবান্ধায় সব নদীর পানি দ্রুত কমে যাওয়ায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। মঙ্গলবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত একমাত্র ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ১৮ সেমি. উপরে ছিল। এছাড়া ঘাঘট নদীর পানি বিপদসীমা বরাবর এবং তিস্তা ও করতোয়ার পানি বিপদসীমার অনেক নিচে ছিল। জেলার সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সদর উপজেলার চরাঞ্চলগুলো থেকে পানি নেমে গেছে। ফলে আশ্রয় নিয়েছিল তাদের অধিকাংশই ইতোমধ্যে ঘরে ফিরে গেছে। যারা এখনও ফিরে যেতে পারেননি তারা দু’একদিনের মধ্যে ফিরে যাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলের যমুনা নদীর পানি কমতে শুরু করলেও পানিবাহিত রোগসহ ভোগান্তি বাড়ছে বানবাসি মানুষের। ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাটে পলি মাটি পড়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
কালিয়াকৈর (গাজীপুর) : গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। প্রতিদিনই বাড়ছে বিভিন্ন নদ-নদীর পানি। তলিয়ে যাচ্ছে বহু ফসলি জমি ও মৎস্য খামার এবং ইটভাটাসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আঞ্চলিক সড়কগুলোর অনেক অংশ তলিয়ে গেছে। কালিয়াকৈর পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিস এখনও পানিতে তলিয়ে রয়েছে। কালিয়াকৈর উপজেলায় উজান থেকে বয়ে আসা বন্যার পানি ও অতি বৃষ্টির কারণে তুরাগ নদী, বংশায় নদী, শীতলক্ষ্যা নদী, বানার নদী, বালু নদীর পানি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এদিকে কালিয়াকৈরের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নদীর দুই পাড়ে বহু ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে।
টেকেরহাট (মাদারীপুর) : মাদারীপুরের আড়িয়াল খাঁ নদীর লঞ্চঘাট এলাকার শহররক্ষা বাঁধের ৪০ মিটার এলাকা শনিবার বিকেল ৪টার দিকে নদীতে বিলীন হয়ে যায়। ফলে ভাঙনের হুমকির মুখে রয়েছে মাদারীপুর শহরের শত শত স্থাপনা। ভাঙন প্রতিরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে ফালানো হচ্ছে বালুর বস্তা।
মাদারীপুরের আড়িয়াল খাঁ নদীর শহররক্ষা বাঁধের লঞ্চঘাট এলাকার ওয়াক ওয়ের ৪০ মিটার এলাকা ঈদের দিন শনিবার বিকেল ৪টার দিকে হঠাৎ করে নদীতে বিলীন হয়ে যায়। এর ফলে ভাঙনের ঝুঁকিতে হুমকির মুখে রয়েছে মাদারীপুর শহরের শত শত বসতবাড়ি। আতঙ্কে রয়েছে শহরবাসী। নদীর পাড়ের বহু মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে মালামাল নিয়ে অন্যত্র চলে গেছে।
ডেমরা (ঢাকা) : ঢাকার বালু নদের পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে বন্যাকবলিত মানুষের দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে। ইদারকান্দি, ফকিরখালি, দাসেরকান্দি, গজাইরাপাড়া ও বাবুর জায়গা এলাকাগুলোর রাস্তাঘাট ও নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া ওয়ার্ডের ত্রিমোহনী, লায়নহাটি, নাগদারপাড়, নাসিরাবাদসহ অধিকাংশ এলাকার নিম্নাঞ্চল ও বাড়িঘর প্লাবিত হয়ে ৭৫ নম্বর ওয়ার্ডে অন্তত দুই হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়েছে। ডিএসসিসির ৭২ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তত ৫০০ পরিবার পানিবন্দি হয়েছে।
এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। অভ্যন্তরীণ খালের মাধ্যমে বালু নদের পানি ওই এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। এছাড়া ডিএসসিসির ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মুগদাপাড়া খাল এলাকার নিম্নাঞ্চলেও বন্যার পানি ছড়িয়ে পড়েছে। এদিকে ডিএসসিসির ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণগাঁও, ভাইগদিয়া ও মানিকদিয়া খালের তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলগুলো তলিয়ে গেছে। ওই ওয়ার্ডের বেগুনবাড়ী এলাকা ও আশপাশের নিম্নাঞ্চলগুলো তলিয়ে গেছে।