জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাত ১০টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত বাসা থেকে বাইরে না যাওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। এছাড়া দোকানপাট, শপিং মল রাত ৮টার মধ্যে বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আগামীকাল ৪ আগস্ট মঙ্গলবার থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত এই নির্দেশনা জারি থাকবে।
সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়। এতে বলা হয়, রাত ১০টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাসার বাইরে যাওয়া যাবে না। তবে ক্রয়-বিক্রয়, কর্মস্থলে যাতায়াত, জরুরি পরিষেবা, ওষুধ ক্রয়, চিকিৎসা সেবা, মৃতদেহ দাফন ও সৎকার ইত্যাদি কাজে বাইরে বের হওয়া যাবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনায় বলা হয়, বাসার বাইরে সব সময় মাস্ক পরে, পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। অন্যথায় আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। হাটবাজার, দোকানপাট, শপিং মলে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি কঠোভাবে প্রতিপালন করতে হবে। শপিং মলের প্রবেশ মুখে তাপমাত্রা পারিমাপক যন্ত্র এবং হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। শপিং মলের আগত যানবাহনগুলোকে অবশ্যই জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে। হাটবাজার, দোকানপাট শপিং মল আবশ্যিকভাবে রাত ৮টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে।
এছাড়া নির্দেশনা বলা হয়েছে, খাদ্যপণ্য ক্রয়ে ঈ-কমার্স সাইট ব্যবহারে উৎসাহিত করতে হবে। সরকারি, স্বায়ত্ত্বশাসিত, বেসরকারি অফিস, ব্যাংক ও অর্থিক প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-কারখানা ও সেবা প্রতিষ্ঠানগুলো স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জারি করা স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করে খোলা থাকবে। ঝুঁকিপূর্ণ, অসুস্থ কর্মচারী এবং সন্তান সম্ভবা নারীরা কর্মস্থলে উপস্থিত হওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
গণপরিবহনসহ সব ধরনের যানবাহন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জারি করা স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করে চলাচল করবে।
৩১ আগস্ট পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কোচিং সেন্টার, বন্ধ রাখার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে।
সব ধরনের সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত ও অনুষ্ঠান বন্ধ রাখার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে দেওয়া নির্দেশনা প্রতিপালন করে মসজিদে নামাজ আদায় ও অন্যান্য উপাসনালয়গুলোতে প্রার্থনা করা যাবে।
সর্বসাধারণের দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির সরবরাহ/প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে হবে। স্বাস্থ্য অধিদফতর এ বিষয়ে সুস্পষ্ট অনুমোদন ও নির্দেশনা দেবে। সিটি করপোরেশন এলাকায় সিটি করপোরেশন এবং অন্যান্য এলাকায় জেলা প্রশাসন এ সংক্রান্ত কার্যবলীর সার্বিক সমন্বয় করবেন।
কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে স্থায়ী সরকার বিভাগ, তথ্য মন্ত্রণালয়, ধর্ম মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ জেলা ও উপজেলা প্রশাস ব্যাপক প্রচারণা ও জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে।
আওতাধীন বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে আদেশে।