ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিনেও আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পশু কোরবানি দিচ্ছেন অনেকেই। ঈদের দিন পশু কোরবানির রীতি থাকলেও দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনেও মুসলিমরা কোরবানি দিয়ে থাকেন।
ঈদের দ্বিতীয় দিন ২ আগস্ট রবিবার সকালে রাজধানীর পুরান ঢাকার কাপ্তান বাজার, গুলিস্তান, বংশাল, নয়াবাজার, বংশাল পুকুরপাড়, নয়াবাজার, সিক্কাটুলি, আলুবাজার ঘুরে দেখা গেছে, অনেকেই পশু কোরবানি দিচ্ছে।
তারা বলেন, ঈদের দিন প্রচুর চাপ থাকায় হালাল উপায়ে পশু কোরবানির জন্য ইমাম ও মাংস প্রস্তুতকারীর সংকট ছিল। দ্বিতীয় দিন চাপ একটু কম। তাই তারা তাড়াহুড়ো না করে দ্বিতীয় দিনেই পশু কোরবানি দিচ্ছে।
তবে তাদের মধ্যে একটি অংশ আছেন যারা পারিবারিক ঐতিহ্য রক্ষায় কিংবা ব্যবসা ও কাজের চাপে ঈদের দিন কোরবানি দিতে না পারলেও দ্বিতীয় দিন পশু কোরবানি দিচ্ছে।
পুরান ঢাকার এক কোরবানি দাতা বলেন, ‘ঈদের দিন পশু কোরবানি দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু প্রচুর কোরবানি থাকায় ইমাম ও মাংস প্রস্তুতকারীদের সিডিউল পাওয়া যাচ্ছিল না। কি আর করা! তাই দ্বিতীয় দিনই পশু কোরবানি দিচ্ছি।’
বংশালের এক কোরবানি দাতা বলেন, ‘ব্যবসার চাপে ঈদের দিন কোরবানি দেয়া হয়নি। কিন্তু পারিবারিক ঐতিহ্য রক্ষায় সবাইকে নিয়ে ত্যাগের মহিমায় ঈদের দ্বিতীয় দিন পশু কোরবানি দিচ্ছি। আল্লাহতায়ালা আমাদের এই কোরবানি কবুল করুন।’
ইসলামের বিধান অনুযায়ী, ঈদের দিন ছাড়াও জিলহজ মাসের ১১ তারিখ (ঈদের দ্বিতীয় দিন) ও ১২ তারিখ (তৃতীয় দিন) পশু কোরবানি করা যায়। তবে বেশিরভাগ মানুষই ঈদের দিনটিকেই পশু কোরবানির জন্য বেছে নেন। অনেকেই সেটা না পেয়ে ঈদের দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় দিন পশু কোরবানি দেন।
এ বিষয়ে পুরান ঢাকার এক কসাই জানান, সত্যি কথা কি, ঈদের দিন আমাদেরও ব্যস্ততা বেশি থাকে। মাংস তৈরিতে সবাই একটু বাড়তি মজুরি নিতে চায়। কসাইয়ের সংকটও থাকে। তাই অনেকেই ঈদের দ্বিতীয় দিন কোরবানি দেন। একইভাবে ঈদের তৃতীয় দিনেও সমান তালে পশু কোরবানি চলবে বলে জানান তিনি।
এদিকে নভেল করোনা ভাইরাসকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এ বছর রাজধানী ঢাকার দুটি সিটিতে (উত্তর ও দক্ষিণ) ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে সাড়ে ১৭ হাজার কর্মী কাজ করছেন। ইতোমধ্যে রবিবার সকাল পর্যন্ত ঢাকা দক্ষিণ সিটির ৪২টি ও উত্তর সিটির ২৩টি ওয়ার্ডে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ হয়েছে বলে জানা গেছে।