দেশে মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রকোপ এবং বন্যার মধ্যেই আজ শনিবার (১ আগস্ট) সারাদেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হচ্ছে। চলমান পরিস্থিতিতে ঈদ আনন্দ অনেকটাই ম্লান। প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত জনজীবন। ঈদের আনন্দ ফাঁকাসে হয়ে হাজির হলো খুশির ঈদ। সংকট মুহূর্তে ঈদের নামাজ শেষে কারও সঙ্গে কোলাকুলি বা হাত মেলানো যাবে না। ত্যাগের মহিমায় আল্লাহর সন্তুষ্টি আদায়ে পশু কোরবানিতে মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। মসজিদগুলোতেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাইকে ঈদের নামাজ পড়তে হবে।
ঈদুল আজহা ইব্রাহিম (আ.) ও তার পুত্র ইসমাইল (আ.)-এর সঙ্গে সম্পর্কিত। ইব্রাহিম (আ.) স্বপ্নে আদিষ্ট হয়ে পুত্র ইসমাইলকে আল্লাহর উদ্দেশে কোরবানি করতে গিয়েছিলেন। আল্লাহর পক্ষ থেকে এই আদেশ ছিল ইব্রাহিমের জন্য পরীক্ষা। ইব্রাহিম (আ.) পুত্রকে আল্লাহর নির্দেশে জবাই করার সব প্রস্তুতি নিয়ে সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়।
বর্ণিত আছে, নিজের চোখ বেঁধে পুত্র ইসমাইলকে বেঁধে যখন জবাই সম্পন্ন করেন, তখন চোখ খুলে দেখেন ইসমাইলের পরিবর্তে পশু কোরবানি হয়েছে, যা এসেছিল আল্লাহর পক্ষ থেকে।
সেই ঐতিহাসিক ঘটনার স্মৃতি ধারণ করেই ইব্রাহিম (আ.)-এর ওয়াজিব হিসেবে পশু জবাইয়ের মধ্য দিয়ে কোরবানির বিধান এসেছে ইসলামি শরিয়তে। সেই মোতাবেক প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমানের জন্য পশু কোরবানি করা ওয়াজিব।
সকালে মুসল্লিরা নিকটস্থ মসজিদে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদুল আজহার দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় করবেন। খতিব নামাজের খুতবায় তুলে ধরবেন কোরবানির তাৎপর্য।