ফরিদপুরে ২ কোটি টাকা মানি লন্ডারিং মামলায় রুবেল-বরকতের পর এবার গ্রেফতার হলেন শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভী। ওই মামলায় দলটির একই কমিটির বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
৩১ জুলাই শুক্রবার দুপুরে ফরিদপুর শহরের চরকমলাপুর নিজ বাড়ি থেকে লেভীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাকে আদালতের নির্দেশে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আলিমুজ্জামান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সুবল সাহার বাড়িতে হামলায় করা মামলায় গত ৭ জুন গ্রেফতার হন রুবেল ও বরকত।
এসপি বলেন, ইমতিয়াজ হাসান রুবেল ও সাজ্জাদ হোসেন বরকতকে মানি লন্ডারিং মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে প্রথমে ২ দিন পরে আরও ৩ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। দ্বিতীয় দফার রিমান্ড শেষে শুক্রবার ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলামের আদালতে ১৬৪ ধারায় দুই ভাই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে আদালতের নির্দেশে তাদের কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
তিনি আরও বলেন, রুবেল-বরকতের আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিতে নাজমুল ইসলাম লেভীর সম্পৃক্ততার বিষয়টি বেরিয়ে আসে। এরপর বিকেলেই নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
২ হাজার কোটি টাকার অবৈধ অর্থ ও সম্পদ আয় এবং পাচারের অভিযোগে সিআইডির পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদ বাদী হয়ে গত ২৬ জুন ঢাকার কাফরুল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১০ সাল থেকে চলতি বছর পর্যন্ত ফরিদপুরের এলজিইডি, বিআরটিএ, সড়ক বিভাগসহ বিভিন্ন সরকারি বিভাগের ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ করে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের মালিক হন বরকত ও রুবেল। এছাড়াও এজাহারে মাদক ব্যবসা ও ভূমি দখলের অভিযোগ আনা হয় তাদের বিরুদ্ধে। বিশাল অংকের অবৈধ টাকার বড় একটা অংশ হুন্ডির মাধ্যমে তারা বিদেশে পাচার করেন।
মানি লন্ডারিং ছাড়াও রুবেল-বরকতদের বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক, হত্যা, চাঁদাবাজি ও চুরির অভিযোগে আরও অন্তত ৮টি মামলা রয়েছে। এসব মামলায় কয়েক দফায় রিমান্ডেও নেয়া হয়েছে তাদের।