পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাড়ি ফেরা মানুষের ভিড় বেড়েছে দেশের নদীবন্দর ও বাস টার্মিনালে। শেষ মুহূর্তে ট্রেনে গাদাগাদি করে ঢাকা ছাড়ছেন কর্মজীবীরা। অন্যবছরে ১ সপ্তাহ আগে বাড়ি ফিরলেও এবার তার উল্টো। মহামারি করোনার মধ্য গতদুই দিন মানুষ নাড়ির টানে রওয়ানা দিচ্ছেন। করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মানা হচ্ছে না। এতে জনস্বাস্থ্য আরও হুমকির মুখে পড়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঈদ যাত্রায় এতদিন খুব একটা ভিড় না থাকলেও গতকাল বৃহস্পতিবার শেষ কর্মদিবসে সড়ক-মহাসড়কে ঈদে ঘরমুখী মানুষের চাপ বেড়েছে। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশদ্বার শিমুলিয়া ও পাটুরিয়া এবং মাওয়া ফেরিঘাটে গাড়ির দীর্ঘ জট লেগেছে। লঞ্চ ও বাসে যাত্রীর ভিড় বেড়েছে। লাখো মানুষের ভিড়ে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা সম্ভব হচ্ছে না। এমনকি অনেকের মুখে মাস্কও ছিল না। লঞ্চ ও বাসে সামাজিক দূরত্ব মানা হয়নি। বাসে দুই সিটে একজন যাত্রী পরিবহনের কথা থাকলেও গতকাল তার ব্যত্যয় ঘটেছে। আজ শুক্রবার শেষ সময়ে বাড়ি ফেরা মানুষের ভিড় আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পথে করোনার ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি ফিরছে লাখো মানুষ। লাখো মানুষের এভাবে যাতায়াত করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়াবে বলে মনে করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
তাদের অভিমত, শুরু থেকেই ঈদে বাড়ি ফিরতে মানুষকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আটকানো গেল না। হাজার হাজার মানুষ বাড়ি ফিরেছেন। তারা ঈদশেষে আবার ঢাকায় ফিরবেন। এভাবে যাতায়াতের মাধ্যমে প্রত্যেকের মধ্যে করোনার ঝুঁকি তৈরি হবে। এতে আগস্টে সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে বলেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এএসএম আলমগীর বলেন, নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে না চলাই ছিল দেশে করোনা বিস্তারের মূল কারণ। স্বাস্থ্য বিভাগ শুরু থেকেই এ বিষয়টিতে সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করলেও অধিকাংশ মানুষ তা আমলে নেয়নি। এতে সংক্রমণের বিস্তার ঘটেছে।