স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুন্সী সাজ্জাদ হোসেনের ভাই মুন্সী ফারুক হোসেনের ব্যাংক হিসাবে থাকা ৯ কোটি পাচারের চেষ্টাকালে তা অবরুদ্ধ করে দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
৩০ জুলাই বৃহস্পতিবার গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সংস্থাটির উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজের সই করা চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিএফআইউ ওই অর্থ অবরুদ্ধ করেন।
চিঠিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুন্সী সাজ্জাদ হোসেন, তার ভাই মুন্সী ফারুক হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুনের নামীয় এবং তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের নামে থাকা এফডিআর, সঞ্চয়পত্র এবং ব্যাংক হিসাবের লেনদেন অবরুদ্ধ করার অনুরোধ জানানো হয়েছেন।
চিঠিতে বলা হয়, তাদের পরস্পর যোগসাজশে বিভিন্ন হাসপাতালে মেডিকেল যন্ত্রপাতি সরবরাহের নামে শত শত কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন সংক্রান্ত অভিযোগ অনুসন্ধানাধীন রয়েছে। এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) উপপরিচালক মো. সামছুল আলমকে প্রধান করে ছয় সদস্যের একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করান।
আরও বলা হয়, দুদক বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছে, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিজ নামীয়, তাদের মালিকানাধীন ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে প্রাইম ব্যাংক ইব্রাহীমপুর শাখাসহ বিভিন্ন ব্যাংকে থাকা এফডিআর, সঞ্চয়পত্র ভাঙিয়ে এবং ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা উত্তোলন করে অন্যত্র স্থানান্তর এবং পাচার করছেন। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের নিজ নামীয়, মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা এফডিআর, সঞ্চয়পত্র ভাঙানো এবং ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা উত্তোলনসহ লেনদেন অবরুদ্ধ করা আবশ্যক।
চিঠিতে সুনির্দিষ্টভাবে বলা হয়, আহাদ এন্টারপ্রাইজের প্রোপ্রাইটর মুন্সী ফারুক হোসেনের নামে প্রাইম ব্যাংক ইব্রাহীমপুর শাখায় থাকা সাত কোটি টাকার এফডিআর, যা সুদসহ ৯ কোটি টাকা রয়েছে। এই এফডিআর ছাড়াও মুন্সী সাজ্জাদ হোসেন, মুন্সী ফারুক হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুনদের নিজ নামীয় ও মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে অন্যান্য ব্যাংকে থাকা এফডিআর, সঞ্চয়পত্র ভাঙানো এবং ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা উত্তোলনসহ সব লেনদেন অবরুদ্ধ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিএফআইউকে অনুরোধ জানানো হয়।