লাদাখের গালওয়ানে সংঘাত ও উত্তেজনার মধ্যেই চীনকে কড়া বার্তা প্রদান করতে চেয়েছেন ভারত। এজন্য ভারতীয় নৌবাহিনী ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পূর্ব ও পশ্চিম নৌ কমান্ডের অধীনে বিপুলসংখ্যক যুদ্ধ জাহাজ মোতায়েন করেছেন ভারত।
প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বিষয়ক দেশটির কর্মকর্তাদের তথ্যানুযায়ী, চীন বার্তাটি বুঝতে পেরেছেন। তারা আরো জানান, লাদাখে চীনের সাথে বিরোধ শুরু হওয়ার পর থেকে তিন বাহিনীর প্রধানেরা নিয়মিত বৈঠক করেছেন, যৌথভাবে সামরিক কৌশল প্রণয়ন করছেন।
চীন ও পাকিস্তানের সাথে সম্ভাব্য সঙ্ঘাতের বিষয়টি মাথায় রেখে চীনা আগ্রাসনের জবাব দিতে ভারতীয় সামরিক বাহিনী প্রস্তুতি গ্রহণ করছে।
ভারত সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের এক কর্মকর্তা বলেন, চীনের সব ক্ষেত্রে ভারত জবাব দিয়েছে এবং তাদেরকে বলে দিয়েছে যে তারা যা করেছে তা অগ্রহণযোগ্য। এর জবাবে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী ও সেইসাথে কূটনীতি ও এমনকি অর্থনীতিও ছিল।
ওই কর্মকর্তা বলেন, জাহাজগুলো মোতায়েন করা হয়েছে চীনকে বার্তা দিতে। চীন বার্তা গ্রহণ করেছে। চীন বার্তাটি গ্রহণ করেছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ওই কর্মকর্তা বলেন, হ্যাঁ। চীন বার্তাটি গ্রহণ করেছে। অবশ্য ওই কর্মকর্তা বার্তাটির বিষয়ে কিছু বলেননি। কীভাবে তা গ্রহণ করা হয়েছে, তাও নিশ্চিত করেননি।
চীন সবসময়ই মালাক্কা প্রণালীতে ভারতের সম্ভাব্য অবরোধের ব্যাপারে চিন্তিত। এই রুট দিয়েই পেট্রোলসহ চীনা পণ্যের ৮০ ভাগ পরিবহন করা হয়।
সূত্রটি জানায়, মালাক্কা প্রণালীতে এখন পর্যন্ত চীনা নৌবাহিনীর ‘আশঙ্কাজনক’ কোনো চলাচল নজরে আসেনি ভারতীয় নৌবাহিনীর।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্ট এর আগে খবর দিয়েছিল যে ভারতের নৌবাহিনী অতিরিক্ত সংখ্যক জাহাজ মোতায়েন করেছে। তবে সংখ্যাটির ব্যপ্তি প্রকাশ করা হয়নি।
একই প্রেক্ষাপট বিবেচনায় আন্দামান ও নিকোবর কমান্ডের জন্য নতুন পরিকল্পনা নিয়েছে দেশটি। সরকারি সূত্র জানিয়েছে, ভারতের অন্যতম একটি ঘাঁটি হলো আন্দামান ও নিকোবর কমান্ড। এটিই ভারতের একমাত্র ট্রাই-সার্ভিস কমান্ড।
সূত্র জানিয়েছে, এই স্থানটি নিয়ে বহুমুখী পরিকল্পনা করা হয়েছে। স্থানটি মালাক্কা প্রণালীর খুব কাছেই অবস্থিত। ভারতীয় বিমান বাহিনী ওই অঞ্চলে তাদের জাগুয়ারের নৌহামলা সংস্করণ পাঠিয়েছে। এই কমান্ড থেকে ভারতীয় নৌবাহিনী মালাক্কা প্রণালীতে প্রাধান্য বিস্তার করতে সক্ষম। এর আগে দেশটির ইস্টার্ন নেভাল কমান্ড যুক্তরাষ্ট্রের সাথে এখানে একটি নৌমহড়ায় অংশ নিয়েছিল।