ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাসুম বিল্লাহকে আটকের প্রতিবাদে ও মুক্তির দাবীতে বিক্ষোভ করেছে জেলা ও উপজেলা ছাত্রলীগ। বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কুমারশীল মোড়, মেড্ডা, শহরতলীর ঘাটুরা, সরাইলের কুট্রাপাড়া মোড়, বিজয়নগরের চান্দুরা এলাকায় মহাসড়কে টায়ারে আগুন জালিয়ে ও সড়ক অবরোধ করে এই বিক্ষোভ করা হয়। এসময় মাসুম বিল্লাহকে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে মাদক দিয়ে ফাসিয়ে দেওয়া হয়েছে উল্লেখ্য করে অভিলম্বে তার মুক্তি দাবী করেন বিক্ষোভকারীরা। এর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে জেলা ছাত্রলীগ মানববন্ধন করতে চাইলে পুলিশ তাদের বাধা দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এরপরই বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ শুরু হয়। পাশাপাশি সে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সিএনজি অটোরিকশা ও টেম্পো পরিবহন মালিক সমিতির উপদেষ্টা। সেই ধাপের পরিপ্রেক্ষিতে অনুসরণ করে প্রথম ধাপে বৈঠক করেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সিএনজি মালিক সমিতি ও শ্রমিক সমিতি পরিবহন সংগঠনের ঐক্যজোটে সকল মালিক-শ্রমিক নেতৃবৃন্দরা। উনারা বলেন মাসুম বিল্লাহ সিএনজি মালিক সমিতির উপদেষ্টা এবং সহ সাধারন সম্পাদক শেখ মো. এনামুল হক উভয়কেই নাসিরনগর যাওয়ার পথে সরাইল থানার পুলিশ প্রশাসনের সাথে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য আটক করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। উনারা আরো বলেন আইনের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল কিন্তু উল্লেখিত বিষয়টি নিয়ে জেলার সিএনজি মালিক ও শ্রমিকের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করিতেছে। গ্রেফতারকৃত সিএনজি এর মালিক নেত্রীদ্বয়কে দ্রুত জামিন না দেওয়া হলে, জেলায় যে কোন মুহূর্তে বিশৃঙ্খলা অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে বলে আমরা মনে করি। পরিশেষে জেলা বাস মালিক সমিতি ট্রাক মালিক সমিতি ও সিএনজি মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দরা সবাই একমত পোষণ হয়। সেই প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসকের নিকট সুবিবেচনা করে জেলার পরিবহন সেক্টরের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে একটি স্মারকলিপি পাঠান। উল্লেখ্য গত ২৮ জুলাই নিজের সাথে ৬ বোতল ফেন্সিডিল রাখার অভিযোগে সরাইল থানা পুলিশের হাতে আটক হোন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মাসুম বিল্লাহ। এসময় পুলিশকে মারধোর করারও অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে।