গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে চাঞ্চল্যকর কবুল মন্ডল হত্যা মামলার প্রধান আসামি মতিয়ার রহমানকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে র্যাব-১৩ গাইবান্ধা ক্যাম্পের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সালমান নূর আলম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান। এর আগে সকাল সাড়ে নয়টায় গোবিন্দগঞ্জ থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার মতিয়ার রহমান পলাশবাড়ী উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়নের করিয়াটা এলাকার রুহুল আমিনের ছেলে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পলাশবাড়ী উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়নের করিয়াটা এলাকার মতিয়ার রহমানদের সাথে একই এলাকার কবুল মন্ডলের দীর্ঘদিন ধরে বাড়ি-ভিটার সীমানা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এঘটনায় গত ৩ অক্টোবর শালিস বৈঠকে কবুল মন্ডল দুই শতক জমি পায় মর্মে স্থানীয়রা রায় দেন। এরই জের ধরে গত ৮ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কবুল মন্ডল গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার হরিতলা বাজার থেকে নিজ বাড়িতে আসছিলেন। পলাশবাড়ীর হোসেনপুর ইউনিয়নে করিয়াটা এলাকায় পৌঁছামাত্র আসামিরা পরিকল্পিতভাবে পথরোধ করে লাঠি, লোহার রড, হাসুয়া, ধারালো ছুরি, বল্লম এবং দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অতর্কিকভাবে আক্রমণ চালিয়ে কবুল মন্ডলকে রক্তাক্ত কাঁটা জখম করে। চিৎকার শুনে স্বজনরা এগিয়ে আসলে তাদের উপরও হামলা চালানো হয়। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে। এসময় আসামিরা বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি হুমকি প্রদান করে পালিয়ে যায়। এতে কবুল মন্ডল ঘটনাস্থলে মারা যান। পরে পুলিশ লাশ থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় নিহত কবুল মন্ডলের স্ত্রী ছলেমা বেগম বাদী হয়ে মতিয়ার রহমানকে প্রধান করে ছয়জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৩-৪ জনের বিরুদ্ধে পলাশবাড়ি থানায় হত্যা মামলা করেন। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ওই মামলার প্রেক্ষিতে র্যাব-১৩ সিপিসি-৩ গাইবান্ধা ছায়াতদন্ত শুরু করে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মামলার প্রধান আসামি মতিয়ার রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। এ বিষয়ে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সালমান নূর আলম বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার আসামি তার অপরাধ স্বীকার করেছে। পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আসামিকে পলাশবাড়ী থানায় হস্তান্তর করা হয়।