জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ এ কথা বলেন। তিনি বলেন, “জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে ৬২ দিনের অভিজ্ঞতায় মনে হয়েছে যে বাংলাদেশের পুরো শিক্ষা ব্যবস্থাকে এলোমেলো করে দেয়া হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়সহ সমস্ত শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কার প্রয়োজন। এদেশের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে। তাদের কারিকুলামে কর্মমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা নেই। আমি দায়িত্ব পাবার পর কারিকুলাম পরিবর্তন করে বিভিন্ন ওঈঞ ও সফট স্কিল অন্তর্ভুক্ত করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য কর্মমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছি।” তিনি আরো বলেন, “জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন প্রকার সিন্ডিকেট সহ্য করা হবে না।” প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি বলেন, “আমাদের চাপে রেখে ছাত্রদেরকে ব্যবহার করে যারা অটোপাস আদায় করতে চায় তাদের উদ্দেশ্যে বলছি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোন অটোপাস দেয়া হবে না। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অটোপাস দিলে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যাবে।” মাননীয় উপাচার্য বলেন, “একটা সময় ছিল যখন বিভিন্ন দেশ থেকে কর্মসংস্থানের জন্য লোকজন আমাদের দেশে আসতো অথচ আজ আমরা সেই সকল দেশ থেকে অনেক পিছিয়ে পড়েছি। গত দশকের এলোমেলো শিক্ষা ব্যবস্থার কারণে আজ আমাদের এই অবস্থা। এর থেকে উত্তরণের জন্য ও গুনগত শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিতে রাত দিন কাজ করে যাচ্ছি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার গুনগত মানোন্নয়নের জন্য আন্তর্জাতিক মানের ডাটা সেন্টার, সাইবার সেন্টার করার চিন্তাভাবনা করছি। এটা বাস্তবায়ন করতে পারলে দেশের বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে আসবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান বাড়বে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কলেজগুলোতে মনিটরিং বাড়ানোর উপরও তিনি গুরুত্বারোপ করেন।” উপাচার্য আরও বলেন, “জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি মডেল ক্যাম্পাস তৈরি করারও পরিকল্পনা রয়েছে যা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করবে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য আমরা সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।” আলোচনা সভায় সমাপনি বক্তব্য রাখেন সভার সভাপতি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর মোঃ লুৎফর রহমান । অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন, রেজিস্ট্রার, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।