মেহেরপুরের গাংনীতে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের দুই নেতাকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। আটককৃতরা হলেন-গাংনী উপজেলার চরগোয়াল গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে স্থানীয় মটমুড়া ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা রাজন আলী (৩০) ও একই গ্রামের মৃত হায়দার আলীর ছেলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের স্থানীয় রাকিবুল ইসলাম (৩৫)। তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক উদ্ধার করা হয়েছে দেশীয় অস্ত্র ও গুলি। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ভোররাতে যৌথ বাহিনীর একটি দল চরগোয়াল গ্রামে এ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। পরে অভিযান চালিয়ে দেশীয় ২৭টি অস্ত্র যার মধ্যে ১৬টি ছোট বড় হাসুয়া,১টি হাত কুড়াল, ১টি চাপাতি, ১টি দা, ৩ টি ছুরি, ৪ টি রড ও ১টি আঁকড়া এবং ৮ রাউন্ড বন্দুকের গুলি উদ্ধার করে। মেহেরপুর সেনা ক্যাম্পের অধিনায়ক লে: কর্ণেল নাবিল আহমেদের নেতৃত্বে যৌথবাহিনীর একটি দল গোয়েন্দা তথ্যের অনুযায়ী চরগোয়ালগ্রাম সংলগ্ন মাথাভাঙ্গা নদীর পাড়ে অভিযান চালায়। অভিযানে রাকিবুল ইসলাম ও রাজনকে আটক করা হয়। পরে তাদের স্বীকারোক্তিতে একই গ্রামের ছবগুলের জামাই লাবলু হোসেনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৮টি রাউন্ড গুলি ও ২৭ টি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। যৌথবাহিনীর অভিযানের টের পেয়ে বাড়ির মালিক লাবলু হোসেন পালিয়ে যায়। গাংনী থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, যুবলীগ নেতা রাজন ও রাকিবুল ইসলামের বিরুদ্ধে এলাকায় চুরি ডাকাতিসহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগ রয়েছে। তারা একাধিকবার পুলিশের হাতে আটক হয়েছে ও একাধিকবার জেল খেটেছে। মেহেরপুর সেনা ক্যাম্পের অধিনায়ক লে: কর্ণেল নাবিল আহমেদ এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আটকদের বিরুদ্ধে গাংনী থানায় মামলা দিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। গাংনী থানার ওসি (তদন্ত) অফিসার মনোজ কুমার নন্দী জানান, এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। দুপুরে আসামিদের মেহেরপুর আদালতে পাঠানো হবে। ধারণা করা হচ্ছে উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও গুলি ছবগুলের জামাই বাড়ির মালিক পলাতক লাবলু হোসেনের।