ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইলে সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী সাবেক সংসদ সদস্য র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, সাবেক এমপি মজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, সাবেক এমপি এড. জিয়াউল হক মৃধাও সাবেক এমপি উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম শিউলি আজাদসহ আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি অঙ্গসংগঠনের ৬৭ জনের নাম উল্লেখ করে সরাইল থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। সরাইল থানা পরিদর্শক( তদন্ত) মো. রফিকুল হাসান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ২০২১ সালের ২৮ মার্চ কুট্রাপাড়া ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক বিশ্বরোড় পশ্চিম লালশালুক হোটেলের সামনের রাস্তায় আসামিদের আগ্নেয়াস্ত্রের গুলিতে লিটন মিয়াকে হত্যার ঘটনায় মাওলানা মো. সুলতান মিয়া বাদী হয়ে মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) এ মামলাটি দায়ের করেন।নিহত লিটন মিয়া সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের কাটানিসার গ্রামের বাসিন্দা।মামলায় সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. নাজমুল হোসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম রাব্বি, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো.শরিফ উদ্দিন, বাপ্পি,উপজেলা পরিষদ সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকেয়া বেগম, সমর ভৌমিক, এড. মোখলেছুর রহমান, মো. নাজিম উদ্দিন ভাসানী, শাহ আলম মিয়া, শেখ হেলাল, আইবুর রহমান, শেখ হাবিবুর রহমান,মো. হোসেন মিয়া,গিয়াস মিয়া,রহিম উদ্দিন, শেখ রাজিব মিয়া,বকুল মিয়া,মো. সাইফুল ইসলাম, আবদুল আহাদ, আকবর মিয়া, আবু তালেব, এড, শফিক, গাজী বোরহান, মিজান মিয়া,ডা, ফাইজুল ইসলাম (ফজু),আফজাল হোসেন, মাসুক মেম্বার, আব্দুলাহ, গাজী কাপ্তান মিয়া, আমজাদ হোসেন, কামরুল বক্স,কায়কোবাদ, বিল্লাল মিয়া,মুজিবুর রহমান, সোহেল মিয়া,সিরাজুল ইসলাম,পায়েল মৃধা, সফিক মুন্সী, হামিদুল হক, ইসমাইল খান, আবু শাহাদাত মৃধা রাসেল,মো, আলী মিয়া, আবু শামীম মো. সানা, মো. সুমন মিয়া, খাইরুল হুদা চৌধুরী বাদল, ল্যাব এইড বাবুল,নুরুল ইসলাম কালন,শাহ আলম লস্কর, নজর মিয়া, আছমা আক্তার, লুৎফুর রহমান, সাইফুল্লাহ ঠাকুর, এস এম আনোয়ার, সাব্বির মিয়া, ফরহাদ মিয়া, মিষ্ঠার মিয়া, লাল মিয়া, মাহফুজ মিয়া,আরমান মিয়া, জহিরুল হক,শাওন মিয়া, চয়ন ঠাকুর, সোহাগ মৈশানসহ ৬৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরো দুই-তিনশ’ লোককে আসামী করা হয়।মামলায় মাওলানা মো. সুলতান মিয়া অভিযোগ করেন, ২০২১ সালে নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে আন্দোলন কর্মসূচির সময় তাদের নির্দেশে আসামিদের আগ্নেয়াস্ত্রের গুলির আঘাতে লিটন মিয়া ঘটনাস্থলে নিহত হয়৷ তৎকালীন থানা কর্তৃপক্ষ অজ্ঞাত কারণে মামলা গ্রহণ করা হইতে বিরত থাকেন দমন- নিপীড়নের ভয়ে কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি।