বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে আরো দুটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত বুধবার দিবাগত রাতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি দিয়ে ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেন গুলিদ্ধি হয়ে নিহত ১০ বছরের হুসাইনের পিতা মানিক মিয়া। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমানকে প্রধান করে ১০ জনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন নিহত হৃদয়ের (২৭) মা রিতা। মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক। হুসাইন হত্যা মামলায় শেখ হাসিনার সঙ্গে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক এমপি শামীম ওসমান, নজরুল ইসলাম বাবু, গোলাম দস্তগীর গাজী, আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাতকেও আসামি করা হয়েছে। হুসাইন হত্যা মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন পণ্ড করার জন্য গত ২১ জুলাই আসামিরা একজোট হয়। তারা পিস্তল, শর্টগান, ককটেল ও দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানচলা চলে বিঘ্ন সৃষ্টি করে। এসময় তারা ১ থেকে ৩ নম্বর আসামির নির্দেশে ছাত্র-জনতাকে লক্ষ করে এলোপাথারি গুলি করে। তখন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ডাচ্ বাংলা ব্যাংক এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। নিহত হুসাইন ব্রাহ্মনবাড়ীয় জেলার আখাউড়ার বরিশাল গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে। সিদ্ধিরগঞ্জের সিআইখোলা এলাকায় মা-বাবার সঙ্গে থাকতো। অপর মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ২০ জুলাই সন্ধ্যায় সিদ্ধিরগঞ্জের আটি ভূমি পল্লি আবাসিক এলাকার সামনে পাকা সড়কে আসামিদের ছোড়া গুলিতে হুদয় নিহত হয়। নিহত হৃদয় সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা থানার দুর্গাপুর গ্রামের মো. ছফেদ আলির ছেলে। তিনি সিদ্ধিরগঞ্জের আটি হাউজিং ২ নম্বর গুলির জহুর মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া।