বগুড়ায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক শাহীনুর ইসলামকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৪০জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আরও ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মঙ্গলবার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিবগঞ্জ উপজেলার সমন্বয়ক শাহীনুর ইসলাম আলামিন বগুড়ার অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিবগঞ্জ আমলী আদালতে মামলার আবেদন করেন। পরে আদালত শুনানি শেষে শিবগঞ্জ থানার ওসিকে এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশ প্রদান করেন। সমন্বয়ক শাহীনুর ইসলামের পক্ষের আইনজীবী আব্দুল ওহাব বলেন, গত ১৯ জুলাই বিকালে শিবগঞ্জ পৌর এলাকায় সোনালী ব্যাংক চত্বরে শেখ হাসিনা এবং ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশে আসামিরা ছাত্র জনতার মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণ এবং গুলি চালিয়ে নির্বিচারে হামলা চালায়। এই হামলায় আন্দোলনে অংশ নেয়া অনেকেই আহত হন। এদের মধ্যে উপজেলার কানুপুর গ্রামের নাজমুল ইসলামের বাম হাতে ও উরুতে গুলি লাগে। সে এখনো চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে রয়েছেন। এই ঘটনায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন শিবগঞ্জ উপজেলার সমন্বয়ক শাহীনুর ইসলাম বগুড়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিবগঞ্জ আমলী আদালতে মামলার জন্য আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানি শেষে বিচারক এজাহার হিসেবে গ্রহণের জন্য শিবগঞ্জ থানার ওসিকে নির্দেশ প্রদান করেন। শেখ হাসিনা ওবায়দুল কাদেরকে নির্দেশদাতা উল্লেখ করে ১৪০ জনের নামে আইনে মামলা আদায়ের করা হয়। এই মামলায় অজ্ঞাতনামা ১৫০-২০০ জনকে আসামি করা হয়। মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিদের মধ্যে হলেন বগুড়া-২ আসনের সাবেক এমপি শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ, তাঁর ছেলে হুসাইন শরিফ সঞ্চয়, শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ রিজু, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ বিপুল, রেজ্জাকুল ইসলাম রাজু, আমিনুল ইসলাম দুদু, এস এম রুপম, এসকেন্দার আলী, মহিদুল ইসলাম, রেজাউল করিম চঞ্চল, শাহজাহান চৌধুরী, জাহিদুল ইসলাম, আহসান হাবীব সবুজ, আসিফ মাহমুদ মিল্টন,বেলালসহ আরও অনেকে। শিবগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রউফ জানান, এখন পর্যন্ত কোন কাগজ হাতে পাইনি। কাগজ হাতে পেলে আদালতের নির্দেশ মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।