রাজধানীর কাজলায় হানিফ ফ্লাইওভারের টোলপ্লাজার কাছে ফলের দোকানি ফরিদ শেখ হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন নিহতের পিতা সুলতান মিয়া। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাকিল আহম্মেদ বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ৪ আগস্ট বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ফরিদ শেখ যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভারের কাজলা অংশের টোলপ্লাজার পাশের রাস্তা দিয়ে তার ফলের দোকানে যাচ্ছিলেন। এ সময় তিনি গুলিবিদ্ধ হন। গুলি তার পাকস্থলির ডান পাশে লেগে বাম পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়। তাকে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে ৬ আগস্ট চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক আবদুল্লাহ আল মামুন, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম, সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ, অতিরিক্ত যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার, সাবেক কমিশনার ডিএমপি হাবিবুর রহমান, জাসদের হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ. আরাফাত, যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হাসানসহ অজ্ঞাতনামা ২৫০ জন।
শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে হুকুমের আসামি করা হয়েছে।