পুলিশের সার্জেন্ট নিয়োগে ৬ ছাত্রলীগ নেতা এবং একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন শিক্ষক নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেছিলেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরি নওফেল। এই দুটি নিয়োগের জন্য সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির কাছে সুপারিশ করেন তিনি। সুপারিশে শিক্ষামন্ত্রীর অফিসিয়াল ডিও লেটার (আধা সরকারি পত্র) ব্যবহার করেন। ডিও লেটার ইস্যু করা হয় ১০ এপ্রিল ২০২৩ সালে। ওই সময় তিনি শিক্ষা উপমন্ত্রী ছিলেন। ২০২২ সালের বাংলাদেশ পুলিশের সার্জেন্ট পদে চূড়ান্তভাবে ৭২৬ জনকে নির্বাচিত করা হয়েছিল। নির্বাচিত প্রার্থীরা চলতি বছর ১৬ জুলাই যোগদান করেন। ডিও লেটারে উল্লেখ রয়েছে, আন্তরিক সালাম ও শুভেচ্ছা নিবেন। সার্জেন্ট নিয়োগ পরীক্ষা-২০২২ এ অংশগ্রহণকারী নিম্নবর্ণিত পরীক্ষার্থীগণ লিখিত ও কম্পিউটার দক্ষতা পরীক্ষায় সাফল্যের সাথে উত্তীর্ণ হয়ে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীগণ আমার একান্তভাবে পরিচিত। সকলে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী আওয়ামী পরিবারের সদস্য ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত। আমার জানা মতে আবেদনকারীদের স্বভাব চরিত্র অত্যন্ত ভালো এবং তার রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কর্মকাণ্ডে জড়িত নয়। ডিও লেটারে ৬ জনের পরিচয় দেওয়া হয় ১. সুজয় বড়ুয়া, সাবেক সদস্য, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। ২. আশীষ কুমার দাশ, সহ-সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। ৩. মোহাম্মদ দেলোয়ার হোছাইন, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক, কুতুবদিয়া উপজেলা ছাত্রলীগ, কক্সবাজার। ৪. প্রহল্লাদ কুমার ঘোষ , সাবেক উপ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ। ৫. ওমর ফারুক, উপ-ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক বিষয়ক সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। ৬, কাওসার আহমেদ, সহ-সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। এতে আরও বলা হয়েছে— এসব প্রার্থীদের চূড়ান্তভাবে নিয়োগ প্রদানের পরিক্রমায় আপনার আন্তরিক সহযোগিতা একান্তভাবে কামনা করছি। ডিও লেটারের শেষ অংশে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল স্বাক্ষর করেন। ‘শ্রদ্ধান্তে’লেখা সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এর নাম। একই ভাবে রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন ছাত্রলীগ নেতাকে খণ্ডকালীন শিক্ষক নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেন নওফেল। এ জন্য ২০২৩ সালের ৫ এপ্রিল ডিও লেটার দেন তিনি। সেখানে ভিসিকে লেখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও পতেঙ্গা থানা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল হাসান সাব্বিরকে আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ের তার স্নাতক বা স্নাতকোত্তর বিষয়ের সঙ্গে মিল রেখে প্রথমে খণ্ডকালীন পরে স্থায়ীভাবে শিক্ষক নিয়োগের জন্য সুপারিশ করছি। সেখানেও তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী আওয়ামী পরিবারের সদস্য ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত বলে উল্লেখ করেন।