নোয়াখালী সোনাইমুড়ী উপজেলার ০৯ নং দেওটি ইউনিয়নের মুহুরীগঞ্জ বাজারের পাশে দেওটি বড় বাড়ীর মিলন হত্যার প্রধান আসামী ও শিষ্য সন্ত্রসী সাঈদ আহাম্মেদ শাহা তার পিতার নাম সেলিম প্রতিপক্ষের গুলিতে গতকাল নিহত হয়। শাহার স্ত্রী ফাতেমা আক্তার রুমী অভিযোগ করে বলেন তাহার স্বামীকে খায়ের মেম্বার, নাছির ও শামীমগংদের ইন্দনে হত্যা করা হয়েছে। গত ১৮ ই আগষ্ট রোববার একই বাড়ীর আবদুল মালেকের ছেলে হুমায়ন কে মুহুরীগঞ্জ বাজারে তার দোকানে গিয়ে হত্যা মামলার আসামী করেছ কেন বলে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারধর করে দুটি পা ভেঙ্গে দেয় শাহা ? বিকালে খায়ের মেম্বারের অফিস দখল করে মিলাদ মাহাফিল ও মিষ্টি বিতরন করেন শাহা। এ বিষয়ে খায়ের মেম্বার জানান যে, আমি এ হত্যাকান্ডের কিছুই জানি না। আমি গত ০৩দিন কুমিল্লাতে আছি। রোববার রাত ০৮:০০ টার সময় মুহুরীগঞ্জ বাজারের ঈদগাঁ মাঠের পাশে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায় বিগত ২০১৫ সালে আগষ্ট মাসের ০৮ তারিখে ডেকোরেটার ব্যবসায়ী মিলন মুহুরীগঞ্জ বাজার থেকে যাওয়ার সময় শিষ্য সন্ত্রসী শাহার সহোযোগীরা সহ মিলনকে নির্মম ভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। হত্যারপর দীর্ঘদিন ০৯ বছর পলাতক থাকার পর গা-ডাকা দিয়ে থাকে। ইদানিং শাহার সঙ্গ-পাঙ্গ দলবল নিয়ে এলাকায় ঘুরাপিরা ও অস্ত্রের মোহড়া দিয়ে মুহুরীগঞ্জ বাজারে সন্ত্রসী কর্মকান্ড করে যাচ্ছে এবং যারা শাহাকে হত্যা মামলার আসামী করেছে তাদের কে দেখে নিবে বলে শাহা ঐ সময়ের মামলার বাদীদের কে হত্যার হুমকী দুমকী দেয়। ঐদিন মাগরিবের পর অজ্ঞাত ২০/৩০ জন সন্ত্রাসী এলোপাতাড়ী গুলি করতে থাকে শাহার অফিসে। অফিসের ভিতরে থাকা অনেকেই গুলি বৃদ্ধ হয়। মৃত্যুর আগে শাহা আরো প্রকাশ করে যে দীর্ঘ দিন মামলা চালাতে চালাতে অনাহারে ও অর্ধাহারে ছিলাম। শাহার স্ত্রী ফাতেমা আ শিষ্য সন্ত্রাসী শাহা এলাকায় কিং মোজাম্মেল ও সবুজ গংদের শিষ্য বলে বেড়াতেন এবং রাজনৈতীক ভাবে কিং মোজাম্মেলের ছত্রছায়ায় ছিলেন বিদায় এলাকার কাউকে তোয়াক্কা করতেন না। নাম প্রকাশে অন-ইচ্ছুক অনেকে জানানস্থানীয় সূত্রে জানা যায় এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। মাদক ব্যবসার টাকা ভাগা-ভাগী নিয়ে গতকাল সন্ধায় তাদের দু গ্রুফের মধ্যে সংঘর্সের সৃষ্টি হয়। সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের গুলিতে তার সহযোগী সহ দুইজন নিহত হয়। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ারপর দূরবিত্বরা ফাঁকা গুলি করতে করতে চলে যায়। রোববার রাত ১১টায় পুলিশ তার লাস উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন। সোনাইড়ী থানার ওসি বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান গুলি বৃদ্ধ অবস্থায় শাহার লাস উদ্ধার করে নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য প্রেরণ করেছি। হত্যাকারীদের আটকের চেষ্টা চলেছে। এঘটনায় নিহতের স্ত্রী ফাতেমা আক্তার রুমী বাদী হয়ে মামলার প্রস্তুতী নিচ্ছে।