বিএনপি ও বিরোধী জোটের কার্যালয়গুলোকে ‘অবরুদ্ধ’ রেখে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে নির্বাচনী ‘সার্কাস’ খেলা শুরু হয়েছে মন্তব্য করে ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ বলেছেন, জনগণ গত পনের বছরের প্রতিশোধ নিতে অবৈধ তফসিল প্রত্যাখান করেছে। ফ্যাসিবাদী সরকার পূর্বের পরিকল্পনা অনুযায়ী আরেকটি আজ্ঞাবহ নির্বাচন করে নিতে প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনকে ঢেলে সাজিয়েছেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার যদি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন দেওয়ার আগ্রহ দেখাতেন তাহলে সরকার দলীয় কার্যালয়ে ভোটের আমেজ আর বিএনপিসহ বিরোধী দলের কার্যালয় গুলোকে এতিমখানা বানিয়ে রাখতেন না! তালা ঝুলিয়ে দিতেন না। শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ গণগ্রেফতার করতেন না! সুতরাং “শিয়ালের কাছে মুরগী আর আওয়ামী লীগের কাছে সুষ্ঠু ভোট” আশা করা যায় না। গতকাল রবিবার দুপুরে ঢাকার বিজয়নগর পানির ট্যাংকের সামনে ‘শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও অবৈধ তফসিল বাতিলের দাবীতে ‘ ১২ দলীয় জোটের হরতাল সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্যে এসব কথা বলেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, বিশ্বের কাছে আমরা লজ্জিত এবং নিন্দিত। কারণ বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই। আইনের শাসন নেই, মানবাধিকার নেই। জনগণকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে আরেকটি ‘ভূয়া’ নির্বাচন করার পরিনতি ভাল হবে না। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের একগুয়েমির কারণে বিশ্ব রাজনীতিতে বাংলাদেশকে চরম মূল্য দিতে হচ্ছে। ইতি মধ্যে পোশাক শিল্পের উপর ১২ টি দেশ রপ্তানী প্রত্যাহার করে নিয়েছে। শুধু তাই নয়! পোশাকখাতে স্যাংশন দেওয়ায় মত প্রস্তাব বাইডেন প্রশাসনের নিকট পাঠানো হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতি দেউলিয়া হয়ে পড়বে। বিক্ষোভ মিছিল সংক্ষিপ্ত সমাবেশ বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক এমপি নওয়াব আলী আব্বাস খান, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি- জাগপার সহ-সভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান, লায়ন মো. ফারুক রহমান, জাতীয় পার্টির ভাইস প্রেসিডেন্ট হান্নান আহমেদ খান বাবলু, যুগ্ম মহাসচিব কাজী নজরুল ইসলাম, জাগপার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, কল্যাণ পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব নুরুল কবির ভূইয়া পিন্টু, ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এম এ বাশার, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ, প্রচার সম্পাদক বেলায়েত হোসেন শামীম, ইসলামী ঐক্যজোট যুগ্ম মহাসচিব মোঃ ইলিয়াস রেজা, বাংলাদেশ লেবার পার্টির যুগ্ম মহাসচিব শরীফুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক হাবিবুর রহমান, পাঠাগার সম্পাদ মো: মিলন, যুব জাগপার সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলু, ছাত্র সমাজের সভাপতি কাজী ফয়েজ আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি নিজাম উদ্দিন আল আদনান প্রমূখ। একই উপজেলার চন্ডিপুর আরএনডিএস বটতলা থেকে খিরোল লঞ্চঘাট সড়কের কার্পেটিংয়ের কাজও সংসদ সদস্য করছেন। দুই কোটি ২০ লাখ ৮৯ হাজার ৫৮৫ টাকা ব্যয়ে নির্মিত কাজটি চলতি বছরের ২৬ মার্চ শেষের কথা থাকলেও ৬০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে।