গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে বিএনপি-জামায়াত কর্তৃক হরতাল, দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র, হত্যা, আগুন সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচী, বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রবিবার (১৯ অক্টোবর) সকাল ১১ টায় পৌর শহরের চতুরঙ্গ মোড় থেকে সাবেক সংসদ সদস্য ও আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩২ গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদের নির্দেশে এবং জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মুকিতুর রহমান রাফির নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের থানা মোড় (চারমাথা) প্রদক্ষিণ করে উপজেলা গেটের কাছে এসে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিল শেষে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। পথসভায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মুকিতুর রহমান রাফি। এ সময় বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি শৈলেন্দু মোহন রায় স্বপন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্যামলেন্দু মোহন রায় জীবু, উপজেলা ছাত্রোলীগের সাবেক সভাপতি ও সাপমারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাকিল আকন্দ বুলবুল, গুমানীগঞ্জ যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান মুরাদ, শাখাহার ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান তাহাজুল ইসলাম ভুট্টু, পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাজেদুল ইসলাম, মহিমাগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিক, উপজেলা যুবলীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক পীরজাদা আবু সুফিয়ান, সাপমারা যুবলীগের আহবায়ক তারিকুল বাশার দুলাল, ফুলবাড়ী যুবলীগের সভাপতি জীবন মণ্ডল, গুমানীগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক হাফিজ, শাখাহার যুবলীগের সভাপতি তারিফুজজ্জামান সাগর, উপজেলা তাঁতীলীগের সভাপতি ডা. আব্দুল মোমিন শেখ রুবেল, উপজেলা তাঁতীলীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক, পৌর তাঁতীলীগের সহ-সভাপতি নুরনবী ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন আহবায়ক বাবুল ইসলাম, পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ন আহবায়ক মুন্নু রহমান মুন্না, যুবলীগ নেতা মিনহাজ সরকার, রুহুল আমিন শিহাব, মিলন সরকার, জুয়েল ইসলাম প্রমুখ। পথসভায় বক্তারা সরকারের নানা উন্নয়ন তুলে ধরেন এবং আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা হাতকে আরও শক্তিশালী করার আহবান জানান। বিএনপির ডাকা হরতাল গোবিন্দগঞ্জ বাসী প্রত্যাখান করেছে। উপজেলার কোথাও হরতাল পালিত হয়নি। বক্তারা হুসিয়ার উচ্চারণ করে বলেন, হরতালের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি ও জ্বালাও পোড়াও করা হলে তা শক্তভাবে প্রতিহত করা হবে।