গাইবান্ধায় দীর্ঘদিন থেকে ঘাঘট নদীর তীর ঘেষে নিউ ব্রীজ সংলগ্ন পানিউন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এর জায়গা দখল করে চলছে রমরমা বালু ব্যবসা। এসব বালু বহ্মপুত্র নদীর চর কেঁটে বোলগেট ও বড় নৌকার সাহায্যে নিয়ে আসা হয় নিউ ব্রীজ সংলগ্ন ঘাঘট নদীতে। স্থানীয়দের অভিযোগ, সরকারি ভাবে কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারি উপজেলার বালু মহাল থেকে এসব বালু নামানোর কথা সরকারের রাজস্ব আদায়কৃত ঘাটে। কিন্তু গাইবান্ধা নিউ ব্রিজ সংলগ্ন বাঁধের জায়গায় দখল করে স্হানীয় বালু ব্যাবসায়ী সিন্ডিকেটে ও বোলগেট মালিক অবৈধভাবে এসব বালু বহ্মপুত্র নদী থেকে উত্তোলন করে নিয়ে আসার কারণে সরকার দুদিক থেকে রাজস্ব হারাচ্ছেন কোটি কোটি টাকা। অবৈধভাবে প্রতিদিন বালু ব্যাবসায়ীরা প্রায় লক্ষ,লক্ষ টাকার লেনদেনে অতী দাপটের সাথে রমরমা ভাবে তাদের বালু ব্যাবসা চালিয়ে আসছেন। জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় বিগত দিনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মোখলেছুর রহমান ও উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ রেজাউল করিমের অভিযানে শহর রক্ষা বাঁধে গড়ে ওঠা সকল স্হাপনা উচ্ছেদ করা হয়। আবারও সক্রিয়ভাবে অবৈধ বালু ব্যাবসায়ী সিন্ডিকেটের কারণে সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব য়ায় থেকে বন্চিত ।এছাড়াও প্রতিনিয়ত শহর রক্ষা বাঁধের উপর দিয়ে অবাধে বালু বোঝাই কাঁকড়ার যাওয়া আসায় বাঁধের বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে ফাঁটল। এপথে যাতায়াতকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, দুর্ঘটনার আশংকা ছাড়াও বালুর স্তুপ থেকে বালু উড়ে এসে আমাদের নাক-মুখ দিয়ে শরীরের ভিতরে প্রবেশ করায় নানা রকম রোগের সৃষ্টি হচ্ছে। পথচারীদের অভিযোগ,শুষ্ক মৌসুমে এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করার সময় দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। মাস্ক পড়েও ধুলাবালি আটকানো যায় না। প্রতিকার চেয়ে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণের সু-দৃষ্টি কামনা করেন সচেতন মহল।