শব্দ দুষণ এখন সামাজিক ব্যাধি হয়ে পড়েছে। সড়কে দাঁড়ালেই কান পেতে রাখাটাও দুষ্কর হয়ে পড়েছে।অযাচিত ও অপ্রয়োজনেও গাড়ির বিকট হর্নের শব্দে কান ঝালা পালা উঠে যায়।বিশেষ করে পঞ্চগড় তেতুঁলিয়া মহাসড়কে স্কুল কলেজ,মসজিদ,হাসপাতাল ও ক্লিনিক রয়েছে।শব্দ দুষনের প্রভাবে এসব প্রতিষ্ঠানের কোমলমতি শিশু, রোগী ও নবজাতকদের ব্রেন্টে আঘাত করে।যা পরে শ্রবণশক্তি হিন হওয়ার আসংখা থেকে যায়।তাই জন সচেতনতার কোন বিকল্প নেই।শিক্ষার্থীদের নিয়ে শব্দ সচেতনতামূলক এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা মঙ্গলবার পঞ্চগড় সরকারি অডিটারিয়াম মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। শব্দদুষণ নিয়ন্ত্রণ সম্বলিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্পের আওতায় জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর এ প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করেন।এ সময় দিনব্যাপী প্রশিক্ষণে শহরের চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মা. রিয়াজউদ্দিন বলেন, ‘শব্দ দূষণ প্রতিরোধে প্রচলিত আইন-কানুন না মানা এবং অভ্যাসগত কারণে আমরা প্রতিনিয়ত শব্দ দূষণ করছি। আর এর মাধ্যমে পরিবশ দূষণ হচ্ছে। শব্দ দূষণ প্রতিরাধ ও পরিবেশ রক্ষায় তরুণ শিক্ষার্থীদের গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালনের সুযোগ রয়েছে। আমরা নিজেরা যেমন সচেতন হব, তেমনি সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষকে আইন-কানুন মেনে চলতে সচেতন করবো।আমরা প্রত্যকেই শব্দ দূষণে সম্পৃক্ত। তাই এটি নিরব ঘাতক। শব্দ দুষণের সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা, যদিও শিক্ষার্থীরাই জাতির ভবিষ্যত। তাই সচেতনতা সকলকে নিজ-নিজ অবস্থান থেকে শব্দদূষণ রোধে ভুমিকা রাখতে হবে।’কর্মশালায় জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মা. ইউসুফ আলী বলেন শব্দ দূষণের কারণ শ্রবণ সমস্যা, বিশেষত বয়স্কদের স্মৃতি শক্তি হ্রাস, মেজাজ খিটখিট, মাতৃগর্ভ সন্তানের অস্বাভাবিকতাসহ নানাবিধ জটিল সমস্যা তৈরি হয়। অথচ আমরা আমাদের আচরণ পরিবর্তনের মাধ্যমে শব্দ দূষণ কমাতে পারি। তিনি শব্দ দূষণের কুফল, দূষণ থেকে মুক্ত থাকার উপায় ও করণীয় বিষয়ক তুলে ধরেন। আলাচনা করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম শফিকুল ইসলাম, সিভিল সার্জন অফিসর সহকারী সার্জন ডা. তহিদুল ইসলাম ভূইয়া, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সাইফুল ইসলাম প্রামানিক বক্তব্য দেন। বক্তারা কি কি ভাবে শব্দ দুষণ হয় ও তার থেকে কিভাবে শব্দ দুষণ কমানো সম্ভব সে বিষয়ে কর্মশালায় আলোচনা করা বলেন, চলার পথে মানুষকে অযথা শব্দদূষণ হতে বিরত থাকতে সচেতন করতে হবে। এভাবেই সচেতন জাতি তৌরি হবে। একই সাথে শব্দদূষণ নিয়্ত্রণ প্রচলিত আইন শব্দদূষণকারীদর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করতে হবে। শব্দদূষণ একটি নিরব ঘাতক অথচ এ বিষয়ে কার্যকর ভুমিকা নেয়া অনেক ক্ষেত্র আমাদের সম্ভব হয় না। অহেতুক শব্দ মানসিক ও শারীরিক ক্ষতির বড় কারণ। যার যার অবস্থান হতে এ দূষণ রোধ ভুমিকা রাখতে হবে।কর্মশালায় শব্দ দুষণ নিয়্ত্রণ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন অতিথিরা।