খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, একাত্তরের ঘাতকদের দোসররা বঙ্গবন্ধুকন্যাকে হত্যা করে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতেই ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলা ঘটিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিশ্চিহ্ন করতে মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তিদের ষড়যন্ত্র এখনো চলছে বলে মন্তব্য করেন খাদ্যমন্ত্রী।
গতকাল সোমবার (২১ আগস্ট) সকালে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা দিবস উপলক্ষে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
সাধন চন্দ্র মজুমদার অভিযোগ করে বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা যারা ঘটিয়েছে, তারা ২০১৩-১৪ সালে জঙ্গি সন্ত্রাসবাদ ছড়িয়েছে।
তিনি বলেন, সকল বুদ্ধিজীবী ও ছাত্র সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশকে রক্ষা করতে হবে। দেশকে এগিয়ে নিতে শেখ হাসিনা ও আ. লীগের বিকল্প নেই।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক, উন্নত ও আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে।
আলোচনা সভার সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হাসিবুর রশীদ বক্তব্যের শুরুতেই বর্বরোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত এবং আহতদের প্রতি শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
তিনি বলেন, শোকের মাস আগস্টে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তৎকালীন সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে সংঘটিত নারকীয় গ্রেনেড হামলা বাঙালি জাতির জন্য খুবই বেদনাদায়ক। এ ধরনের নারকীয় ঘটনার যেনো পুনরাবৃত্তি না ঘটে, এজন্য সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. সরিফা সালোয়া ডিনা ২১ আগস্টের নারকীয় গ্রেনেড হামলায় হত্যাকারী এবং এ ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টদের শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান। ট্রেজারার প্রফেসর ড. মজিব উদ্দিন আহমদ বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঠিক নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করার আহ্বান জানান তিনি।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহা. মাহামুদুল হকের সঞ্চালনায় ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বেরোবি শোকাবহ আগস্ট পালন কমিটির আহবায়ক ড. বিজন মোহন চাকী, শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. শরিফুল ইসলাম, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) সৈয়দ আনোয়ারুল আজিম, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. ফিরোজ আল-মামুন, কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. নূর আল মিয়া, বেরোবি ছাত্রলীগের সভাপতি পোমেল বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান শামীম প্রমুখ।
এদিকে ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত সকল শহীদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রিয় মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।