সিরাজগঞ্জে বন কর্মকর্তা পরিচয়ে কাঠের আসবাবপত্র বহণকারী পিকআপভ্যানে চাঁদাবাজির সময় গ্রেপ্তার হওয়া বন প্রহরী রিপন মিয়াকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। শনিবার বিকেলে তাকে সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাবনা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বে) মো. মাতলুবুর রহমান। রিপন মিয়া (৪৫) বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমপাড়ে অবস্থিত ইকোপার্কের বনপ্রহরী ও সদর উপজেলার জারিলা মধ্যপাড়ার আবু বক্কার মন্ডলের ছেলে বন কর্মকর্তা মাতলুবুর রহমান বলেন, বনপ্রহরী রিপন চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার খবরে শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) রাতেই তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তার বিরুদ্ধে যেহেতু মামলা দায়ের হয়েছে। আদালতে দোষী সাব্যস্ত হলে তাকে স্থায়ী বরখাস্ত করা হবে। উল্লেখ্য, নিজেকে বন কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে কাঠের আসবাবপত্রবাহী পিকআপভ্যানে চাঁদাবাজির অভিযোগে ভুক্তভোগী চালক কাজিপুরের চালিতাডাঙ্গা গ্রামের মোখলেসুর রহমান বাদী হয়ে (১৫ নভেম্বর) বনপ্রহরী রিপন মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, কাজিপুরের বিভিন্ন অঞ্চলে তৈরি কাঠের আসবাবপত্র পিকআপভ্যানযোগে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়। এসব আসবাবপত্র সরবরাহের রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে রিপন নিজেকে বন কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি করতেন। পিকআপভ্যান প্রতি ১ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা করে চাঁদা নিচ্ছিলেন তিনি। সম্প্রতি পিকআপভ্যান চালক মোখলেসুর রহমান খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, রিপন বন কর্মকর্তা না, তিনি বনপ্রহরী। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) রাতে কাঠের আসবাবপত্র বোঝাই পিকআপভ্যান নিয়ে কাজিপুর-সিরাজগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের রহমতগঞ্জ কবরস্থান এলাকায় এলে রিপন পিকআপভ্যান থামিয়ে চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে পিকআপভ্যান আটকের হুমকি দেন তিনি। বাধ্য হয়ে মোখলেসুর রহমান তাকে ১ হাজার টাকা চাঁদা দেন। এরপর আরও ছয়টি ফার্নিচার বোঝাই পিকআপভ্যান ঘটনাস্থলে এলে ওই চালকদের কাছেও চাঁদা দাবি করেন রিপন। এ সময় বাদী কৌশলে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ -এ কল দিলে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে রিপনকে আটক করেন।