নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার পার-মল্লিকপুর গ্রামের চাঞ্চল্যকর আপন দুই ভাই হত্যা মামলায় বিএনপি নেতাসহ ২৯ আসামীকে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন আদালত। রোববার দুপুরে নড়াইলের লোহাগড়া আমলী আদালতে হাজিরা দিলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট হেলাল উদ্দিন জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে তাদেরকে আদালত হতে জেল হাজতে পাঠানো হয়। এসময় আদালত চত্বরে আসামীদের আত্মীয় স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন। এলাকাবাসী, পুলিশ ও এজাহারসূত্রে জানাগেছে, পারমল্লিকপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুটি পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ-সংঘাত চলে আসছিলো। দুটি গ্রুপের একপক্ষে নেতৃত্ব দিতেন এস এম ফেরদৌস রহমান এবং অন্য পক্ষের নেতৃত্ব দেন মাহমুদ খান। ফেরদৌস রহমান জেলা বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক ও মাহমুদ খান লোহাগড়া উপজেলা যুবদলের সভাপতি। চলতি বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর মাহামুদ খানের সমর্থকরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে বেপরোয়াভাবে কুপিয়ে পিটিয়ে ফেরদৌস রহমানের পক্ষের সমর্থক আপন দুইভাই মিরান শেখ (৪০) ও জিয়ারুল শেখকে (৩৮) ঘটনাস্থলেই হত্যা করে। এসময় নিহতদের আরেক ভাই ইরান শেখ (৩৬) গুরুতর জখম হন তাকে ঢাকায় নিয়ে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। এ ঘটনায় নিহতের আরেক ভাই মুরাদ শেখ বাদী হয়ে ৩৫ জনকে আসামী করে লোহাগড়া থানায় মামলা দায়ের করেন। আসামীপক্ষের আইনজীবি নেওয়াজ মাহমুদ তুহিন জানান, দুই সহোদর হত্যা মামলায় ২৯জন আসামীকে আইনের প্রতি সম্মান জানিয়ে আদালতে আত্মসর্ম্পণ করেন। বিজ্ঞ বিচারক আসামীদের জামিন না মঞ্জুর করে তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। আসামীদের মধ্যে রয়েছে খান মাহমুদ আলম, শফিকুল ইসলাম ওরফে সবুজ শেখ, জাহাঙ্গীর কবীর ওরফে লিন্টু শেখ, ইকবাল শেখ, কালাম শেখ, দেলবার খাঁন, জহির খান, তহিদুল খান, আবির খান, হিরণ মৃধা, হাসান মৃধা, মশিয়ার মৃধা, বাচ্চু শেখ, জিল্লুর রহমান খান, ঝন্টু শেখ, বুলি শেখ, তানভির মৃধা, আদর মল্লিক, শাহাজান মল্লিক, হিদা শেখ, বরকত শেখ, হালিম খান, সৈকত সরদার, লুলু শেখ, আজাদ শেখ, সোহেল মৃধা, মাসুম শেখ, মামুন মৃধা ও শেখ ফারুক মৃধা।