গাজীপুর আদালতে সরকারি কৌঁসুলি নিয়োগে বৈষম্য ও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে বিক্ষোভ করছেন বিএনপি ও জামায়াত বিক্ষুব্ধপন্থি আইনজীবীরা। বুধবার সকালে জিপি ও পিপির কার্যালয়ে তালা দিয়েছেন।
আন্দোলনরত আইনজীবীরা জানান, গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন কারোর সঙ্গে পরামর্শ না করেই তার ব্যক্তিগত পছন্দের আইনজীবীদের সরকারি কৌঁসুলি নিয়োগের সুপারিশ করেন। তার সুপারিশের ভিত্তিতেই আইন মন্ত্রণালয় জেলা ও মহানগর আদালতে প্রধান সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) ও গভর্নমেন্ট প্লিডার (জিপি) সহ আইনজীবী নিয়োগ দেয়। মহানগরকে গুরুত্ব না দিয়ে জেলার বিভিন্ন থানা থেকে ব্যক্তিগত পছন্দের আইনজীবী বাছাই করায় এসব নিয়োগের বিরোধিতা করে আসছেন অধিকাংশ আইনজীবী। এসব নিয়োগে গাজীপুর বারের সাবেক সভাপতি মহানগর বিএনপি নেতা ড. সহিদউজ্জামান, সাবেক সভাপতি সুলতান উদ্দিনসহ বিএনপিপন্থি অনেক সিনিয়র আইনজীবী বাদ পড়েছেন।
এদিকে জেলা বিএনপির সভাপতির ব্যক্তিগত পছন্দের এসব নিয়োগ বাতিলের দাবিতে দু’দিন ধরে গাজীপুর আদালত পাড়ায় বিক্ষোভ করছেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। বুধবার সকালে বিক্ষুব্ধরা সরকারি কৌঁসুলিদের কামড়ায় তালা দেন। পরে এক বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন, গাজীপুর বারের সাবেক সভাপতি, গাজীপুর ‘ল’ কলেজের অধ্যক্ষ ড. সহিদউজ্জামান, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাছির উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম মোল্লা, অ্যাডভোকেট আরমান আলী, অ্যাডভোকেট শরীফ উদ্দিন, সিনিয়র আইনজীবী মোতাহার হোসেন, আব্দুল হামিদ, অজিফা অলি মুক্তা, আনোয়ার হোসেন, শফিকুল আলম মিলু, হামিদা পারভীন শৈলী প্রমুখ।