রংপুরে তিন লাখ টাকার যৌতুকের জন্য ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে রংপুর নগরীর বনানী পাড়া মহল্লায়। নির্যাতিত ফরিদা ইয়াসমিনের স্বামী রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলার ডাঙ্গলপাড়া গ্রামের বাসিন্দা, বর্তমান ঠিকানা মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানার অন্তর্ভুক্ত কটকীপাড়া গ্রামের মোকছেদ আলীর ছেলে ফরহাদ হোসেন (৩২)। নির্যাতিতা গৃহবধূ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (রমেক) ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি) তে চিকিৎসাধীন রয়েছে। রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানায় দায়েরকৃত এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ আগষ্ট মধ্যরাতে ফরিদা ইয়াসমিন এর স্বামী ফরহাদ হোসেন যৌতুকের তিন লাখ টাকার জন্য অমানবিক নির্যাতন চালায়। ফরিদার স্বামী সে অন্তঃসত্ত্বা জানা সত্ত্বেও তার চুলের মুঠি ধরে মারধর করে এমনকি তার তলপেটে আঘাত করে। ফরিদার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে আসলে ফরিদাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় একটি ঘরে তালা লাগিয়ে রাখে ফরহাদ। ফরিদার অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সরেজমিনে গেলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আমরা সবার জন্য ভালো। আমরা কারো পক্ষে- বিপক্ষে কথা বলবো না। তবে যৌতুকের জন্য পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে এমনভাবে মারধর আমাদের এলাকায় বিরল ঘটনা, যা এর আগে এই এলাকায় ঘটেনি। তবে ফরিদার স্বামী এর আগেও এরকম মারধরের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এ বিষয়ে ফরিদার মা আমেনা বেগম বলেন, ফরিদাকে মার ডাং করে তার হাতের মোবাইলটাও কারি নিছে। এর আগে একবার প্রচুর মার ডাং করছে ওর গলার স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। আল্লাহু এর বিচার করবে। আমি প্রশাসনের কাছে এর সুষ্ঠু বিচার চাই। এ বিষয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজার রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।