রিসাত রহমান, জবি প্রতিনিধি:
সময়ের সাথে সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নারী কর্মীরা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হুসাইন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতা কর্মীরা কৃষকের পাকা ধান কেটে দিচ্ছে৷ এতে ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করেছে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
‘কৃষক বাঁচলে বাঁচবে দেশ’ স্লোগানকে ধারণ করে ছাত্রলীগের নারী কর্মীরাও সমানভাবে এ কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছে। ঈদের ছুটিতে ধান কেটে কৃষকের ঘরে নিরাপদে পৌঁছে দিতে তরুণ প্রজন্ম, ছাত্র ও যুব সমাজের প্রতি যে আহ্বান করেছিল তাতে সাড়া দিয়ে সারা বাংলাদেশে কৃষকের মুখে হাসি ফোটাচ্ছে ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা।
পিছিয়ে নেই নারী কর্মীরাও। অন্যান্য ইউনিটের মত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নারী কর্মীরা এই সাহসী পদক্ষেপ চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করে সমানভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নারী কর্মী মুনিয়া আক্তার যূথী নড়াইলের কালিয়ার হাড়িভাঙ্গায় ধান কাটায় অংশ নেয়। রশিদ মিয়া ও রফিকুল ইসলামের ২০ শতাংশ জমির ধান গ্রামের বান্ধবীদের নিয়ে কেটে দেন। সাথে স্থানীয় ছাত্রলীগের কর্মীরাও ছিলেন।
যূথী জানান, গ্রামের বান্ধবীদের সহযোগিতায় তার জমির ধান কেটে দিলে জমির মালিক অনেক খুশি হয়ে আনন্দ প্রকাশ করেছেন এবং ছাত্রলীগের এই উদ্যোগ কে সাধুবাদ জানিয়ে দেশনেত্রী শেখ হাসিনার প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। ছাত্রলীগ আমাকে শিখিয়েছে কিভাবে সংকটে সংগ্রামে দেশের মানুষের পাশে দাড়াতে হয়। তারই ধারাবাহিকতায় এ প্রচেষ্টা যাতে কৃষকের কষ্ট ও অর্থ একটু হলেও লাঘব হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ফরাজী ভাইয়ের উৎসাহে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে কাজ করে যাব।
জবি ছাত্রলীগের আরেক নারী কর্মী নাজমুন নাহার স্বর্ণার গ্রামের বাড়ি ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলায়। তার উদ্যোগে সোনাগাজীর দুই বিঘা জমির ধান কেটে ঘরে পৌঁছে দেওয়া হয়। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন সোনাগাজী উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
এ প্রসঙ্গে নাজমুন নাহার স্বর্ণা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মো: ইব্রাহীম ফরাজী ভাই আমাদেরকে উৎসাহ দিচ্ছেন। জাতির সব সংকটকালীন সময়ে ছাত্রলীগ জনগণের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। এবারো তার ব্যাতিক্রম ঘটছে না।
ছায়রা ছামছি নিপুণ নামের জবি ছাত্রলীগ কর্মী ফরিদপুরের চর কলমাপুরে কৃষকের ধান কাটতে সহযোগিতা করেন। নিপুণ বলেন, তাপদাহ উপেক্ষা করে অত:পর মেঘলা আবহকে পুঞ্জি করে বৃষ্টির আগ মূহুর্তে ধান কেটে কৃষকদের সাহায্য করতে পেরে খুব ভালো লেগেছে। তারাও খুব ভালো ব্যাবহার করে আমাদের সহযোগিতাকে সাদরে গ্রহণ করেছেন। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
নারী কর্মীদের ধান কাটায় অংশগ্রহণ নিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ ইব্রাহিম ফরাজী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সোনার বাংলা বিনির্মানের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। মাননীয় নেত্রী সব সময়ই নারীর ক্ষমতায়নের ব্যাপারে সব সময়ই সোচ্চার। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ছাত্রলীগের পুরুষ কর্মীদের পাশাপাশি নারী কর্মীরাও অসহায় কৃষকদের ধান কেটে দিচ্ছে। এটা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। নারীদের এই কার্যক্রম নিঃসন্দেহে জননেত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক গৃহীত স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে। সোনার বাংলা বিনির্মানে পুরুষের পাশাপাশি নারীদেরও এগিয়ে আসতে হবে।