ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার আড়পাড়া ইউনিয়নের গড়িয়াদহ ও রাজধরপুর এলাকার গড়াই নদীর মাঝখানে আড়াআড়িভাবে বাঁশের বাঁধ দিয়ে অবাধে মাছ শিকার করে চলছে একটি চক্র। মৎস্য আইনকে বৃদ্ধাঙ্গলি দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মা-মাছ ও পোনা সহ সব ধরনের মাছ নির্বিচারে শিকার করে আসছে চক্রটি। দেখা গেছে, উপজেলার আড়পাড়া ও কামারখালী ইউনিয়নের রাজধরপুর ও গড়িয়াদহ এবং কামারখালী রাজধরপুর, ফুলবাড়ী, গন্ধখালী, দয়ারামপুর, গয়েশপুর এবং সালামতপুর গ্রামের পাশ ঘেঁষে বয়ে গেছে গড়াই ও মধুমতি নদী। সেখানে তীর থেকে আড়াআড়িভাবে নদীর ভিতর বিশাল এলাকা জুড়ে বাঁশ পুঁতে বেড়া দেয়া হয়েছে। বেড়ার সঙ্গে সুতি জাল, স্থানীয় কাথা জাল সহ বিভিন্ন ধরনের জাল দিয়ে রাখা হয়েছে। বাঁশের বেড়ার কিছু দূর পরপর রয়েছে একটি করে মুখ। নদীর স্রোাতের সঙ্গে আসা মাছগুলো আটকা পড়ে এই মুখেই। যেখানে ধরা পড়ে মা-মাছ ও পোনাসহ সব ধরনের মাছ। এসব মাছের মধ্যে থাকে চিংড়ি থেকে শুরু করে পুঁটি, ট্যাংরাসহ দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। এ ছাড়া নদীতে ছোট ছোট ভ্যাসাল, চায়না জাল ও আরও যন্ত্র পাতা আছে। গড়িয়াদহ ও রাজধরপুর এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, অনেকদিন ধরে এখানে বেড়া দিয়ে মাছ ধরা হচ্ছে। আর প্রতি বছরই এভাবে বাঁধ দিয়ে মাছ ধরে প্রভাবশালীরা। তারা বলছেন, এভাবে নির্বিচারে শিকারের কারণে গড়াই ও মধুমতি নদীতে দেশীয় মাছও দিন দিন কমে যাচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, এলাকার আব্দুল্লাহ , পিয়ারী , পৌর, পলাশ ,সঞ্জয় সহ কয়েকজন বাঁধ দিয়ে মাছ ধরছেন। আর আড়পাড়া ইউনিয়নের ভাতুরিয়া গ্রামের উদয়, কামারখালী ইউনিয়নের কোমরপুর গ্রামের আবু আউয়াল, কলম মন্ডল কাথা জাল দিয়ে অবাধে মাছ শিকার করছে মানছে না কোন নিয়ম ও শাসন। এ ছাড়া গয়েশপুর গ্রামের নদীতে যাওয়ার ভাল যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় আরও বেশী যেমনে খুশি তেমনিভাবে মাছ শিকার করছে। আরও জানা যায় এদের পিছনে বিশাল বড় সিন্ডিকেট আছে। তবে এভাবে বেড়া দিয়ে ও কাথা জাল দিয়ে মাছ ধরা মৎস্য আইনে নিষেধ, তারপরও কেন ধরছেন এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘ইলিশ মাছ ধরলে সমস্যা। ছোট মাছ ধরলে সমস্যা নেই। কিন্তু দেখা যায় কাথা জালে পানি বাদে সব মাছ ধরে।’ এ বিষয়ে মধুখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশিকুর রহমান চৌধুরী বলেন আমি মৎস্য অফিসারের বলে দিয়েছি তিনি আগামীকাল অভিযানে যাবে। মধুখালী উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার পবিত্র কুমার দাস বলেন সংবাদ পেয়ে সরেজমিনে গিয়েছিলাম ভিডিও করা আছে আমরা প্রশাসনিক কায়দায় ব্যবস্থা নিবো। আড়পাড়া ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আঃ রউফ মোল্যা বলেন আমি শুনেছি। তবে পরিদর্শনে যেয়ে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাই প্রশাসনের জরুরী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সচেতন নাগরিক জোরালো দাবী জানান যাতে দেশে মাছের আকাল না হয়।