মাদক বিক্রির ২ লক্ষ ১০ হাজার টাকা আত্মসাৎ ও একটি ট্রাকের ব্যাটারি চুরির অপরাধের সুত্র ধরে ফরিদপুর সদর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের তুলাগ্রামের র্দূর্ধষ মাদক ব্যবসায়ী সুমন ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা মিলে তাদের দলের অপর সদস্য সুফল কর্মকার (৩৮) কে বেধরক পিটিয়ে দুই পা ভেঙ্গে ফেলার খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে কৈজুরিবাসীর মাঝে। যদিও পুর্বশত্রুতার কথা উল্লেখ করে গত ৩০ শে মার্চ সুফলের বড় ভাই গোপাল কুমার তুলাগ্রামের মো: মিরাজ মোল্যা, মো: লাবলু মোল্যা, সুমন মাতুব্ব, মো: রাতুল, মো: আরিফ মোল্যা সহ মোট ৫ জন ও অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩ জনের নাম উল্লেখ করে কোতয়ালী থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন। এদিকে স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, মামলার আসামীগনসহ আহত সুফল একই চক্রের সদস্য হয়ে কৈজুরির র্দুর্ধষ মাদক ব্যবসায়ী সুমনের মাদকের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রন করে আসছিলো। তবে এদের অনেই মাদকের পাশাপাশি বিভিন্ন বাড়ির মোটর, টিউবওয়েলের মাথার অংশ, বিভিন্ন গাড়ির ব্যাটারি চুরি করে এলাকায় একটি চুরির আতংঙ্ক সৃষ্টি করে রেখেছে। ঘটনার আগের রাতে লাবলুর চাচাতো ভাইয়ের নিয়ন্ত্রনে থাকা ট্রাকের একটি ব্যাটারী চুরি হয়ে গেলে তা সুফলের উপর দায় চাপিয়ে সুফলকে চোর বলে সনাক্ত করে তারই দলের সদস্যরা। এর আগে সুমনের লুকিয়ে রাখা মাদকের চালান সুফল বিক্রি করে অনেক গুলি টাকা আত্মসাৎ করেছিলো বলে এলাকায় এমন একটি কথা ছড়িয়েছিলো। তবে সকল সদস্য এক চক্রের হওয়ায় তাদের এমন কোন কথা আমলে নেয়নি এলাকাবাসী। এরই ধারাবাহিকতায় লাবলুর ভাইয়ের ট্রাকের ব্যাটারী চুরির সুত্র ও সুমনের মাদকের টাকা নিয়ে সুফলের সাথে বাকবিতন্ডা হওয়ায় এধরনের ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করছে স্থানীয়রা। গত ২৯ তারিখের কথা উল্লেখ করে এসময় একজন বয়োস্ক ব্যাক্তি রহস্য করে জানান, “বাবায় মারছে গাজারে অথবা গাজায় মারছে বাবারে” এর আবার কি বিচার। ঘটনার বিষয়ে আহত সুফল জানান, একটি ব্যাটারি চুরির অভিযোগ এনে কৈজুরির নতুন আশ্রয়ন কেন্দ্র ঈদগাহ মাঠে আনুমানিক সাড়ে ১২ টার সময় সুমন ও তার সাথে থাকা দলবল নিয়ে আমার উপর হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে। এ সময় সুফল আবেগ প্রবন হয়ে জানায়, আমি চুরি করলে সুমনরা কেন এভাবে পিটাবে। তাছাড়া ওড়াতো আমারই সাথে মিশে। আমি কোন অন্যায় করলে আমাকে পুলিশে দিতে পারতো বলে মাদক বিক্রির টাকা আত্মসাৎ এর বিষয়টি এড়িয়ে যান। এ বিষয়ে মাদক ব্যবসায়ী সুমন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আমার মাদক বিক্রির প্রায় ২ লক্ষ ১০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছে সুফল। এ ছাড়াও ঐ দিন সুফলের বিরুদ্ধে একটি ট্রাকের ব্যাটারী চুরির অভিযোগ ছিলো। তাই তাকে মারধোর করা হয়েছে। এদিকে ঘটনার বিষয়ে সুমনের মা চুরির অভিযোগে সুফলকে মারধোর করার বিষয়টি লোকমুখে শুনতে পেলেও সুমনের মাদক ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ার জন্য বার বার অনুরোধ করা সত্ত্বেও সুমন শুনছেনা বলে জানান। এ বিষয়ে ফরিদপুর কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ এম এ জলিল মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান ঘটনার সাথে জড়িত কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। এ ছাড়াও তদন্তে মাদককান্ড বা অন্য কিছু থাকলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ দিকে ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত পুর্বক এসব চোর ও মাদকব্যবসায়ীদের নির্মূল করে ইউনিয়নকে মাদকমুক্ত ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের সদয় হস্তক্ষেপ কামনা করেছে স্থানীয়রা।