প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১৪ বছরে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের উন্নয়ন প্রয়াসে ময়মনসিংহের চিরচেনা চেহারা পাল্টে গেছে। চারদিকে এখন শুধু নানা উন্নয়নের দৃশ্যই চোখে পড়ে। এসময়ের মধ্যে জেলার কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ সব সেক্টরেই ব্যাপক দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্ব ও তাঁর ঐকান্তিক ইচ্ছার ফসল ময়মনসিংহের অভূতপূর্ব এই উন্নয়ন। এসব উন্নয়নের সুফল ভোগ করছে এখন ময়মনসিংহবাসী। ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্ত জানান, অতীতে কোন সরকারের আমলে এমন উন্নয়ন হয়নি। দৃশ্যমান এসব উন্নয়নের ফলেই আগামীতে মানুষ নৌকায় ভোট দিবে। মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ময়মনসিংহ সিটি মেয়র ইকরামুল হক টিটু জানান, ময়মনসিংহবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালকে পাঁচশ’ শয্যা থেকে এক হাজার শয্যায় উন্নীতকরনের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালকে পাঁচশ’ শয্যা থেকে বাড়িয়ে এক হাজার শয্যায় উন্নীত করেছেন। বৃহত্তর ময়মনসিংহের শেরপুর, জামালপুর, টাঙ্গাইল, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ ও ময়মনসিংহসহ উত্তরবঙ্গ, সুনামগঞ্জ, নরসিংদী ও গাজীপুরের মানুষ এখন ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উন্নত চিকিৎসা সেবার সুবিধা ভোগ করছে। ময়মনসিংহকে বিভাগ ও পৌরসভাকে সিটি কর্পোরেশনে উন্নীতকরণসহ শিক্ষা বোর্ড স্থাপন ও পুরনো ব্রহ্মপুত্র নদ ড্রেজিংয়ের দাবি ছিল ময়মনসিংহবাসীর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ময়মনসিংহবাসীর এসব দাবিও পূরণ করেছেন। ময়মনসিংহবাসী দৃশ্যমান এসব উন্নয়নের সুফল এখন ভোগ করছে। ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন আহমেদ এমপি জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ময়মনসিংহবাসীর সব দাবি পূরণ করেছেন। শনিবারের জনসভায় তিনি ময়মনসিংহ বিভাগের আরও উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাঁচ বছর পর আজ শনিবার ময়মনসিংহ আসছেন। তিনি বিকেলে ময়মনসিংহের সার্কিট হাউজ ময়দানে আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিভাগীয় জনসভায় বক্তব্য রাখবেন। প্রধানমন্ত্রীর এই আগমনকে কেন্দ্র করে উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়েছে ময়মনসিংহ। প্রধানমন্ত্রীর ছবিসহ শুভেচ্ছা তোরণ, পোষ্টার আর ব্যানারে ছেয়ে গেছে গোটা ময়মনসিংহ। দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষার প্রহর গুণছেন। আনন্দ আর উচ্ছ্বাসে ভাসছে ময়মনসিংহ। নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর এই জনসভাকে কেন্দ্র করে দলের নেতাকর্মীরাও উজ্জীবিত। শেষ মূহুর্তে চলছে সাকির্ট হাউজ ময়দানের মঞ্চ সজ্জার কাজ। স্থানীয় প্রশাসন থেকে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় নেয়া হয়েছে নিñিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৮ সালের ২ নবেম্বর ময়মনসিংহ এসেছিলেন। পাঁচবছর পর আবার আগামীকাল শনিবার তিনি ময়মনসিংহ আসছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই আগমন উপলক্ষে সকল আয়োজন ও প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে আওয়ামী লীগ ও স্থানীয় প্রশাসন। নেয়া হয়েছে নিñিদ্র নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা। প্রধানমন্ত্রী শনিবার বিকেলে সাকির্ট হাউজ ময়দানে আওয়ামী লীগ আয়োজিত ময়মনসিংহ বিভাগীয় জনসভায় বক্তব্য রাখবেন। তিনি এসময় ১০৩টি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করবেন। এরমধ্যে ময়মনসিংহ বিভাগের ৭৩টি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন ও ৩০টি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী। উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা উন্নয়ন প্রকল্পুলোর মধ্যে রয়েছে ময়মনসিংহের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন জায়গায় ছবির ভিত্তিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল, ময়মনসিংহ সদরের চর সিরতায় ৫০ শয্যা বিশিষ্ট ডা. মুশফিকুর রহমান শুভ মেমোরিয়াল ইসলামিক মিশন হাসপাতাল, ত্রিশাল উপজেলায় এক হাজার আসন বিশিষ্ট অডিটরিয়াম কাম কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ, ময়মনসিংহ জেলায় ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজী, ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁওয়ের চরআলগী ইউনিয়নকে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙ্গন থেকে রক্ষার্থে ভেরি বাঁধ নির্মাণ, ময়মনসিংহ সদর উপজেলা পরিষদ নতুন হসপিটাল নির্মাণ, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলায় গোরবাকুড়া-কড়ইতলী স্থলবন্দর, জেলা আইনজীবী সমিতির মূলভবন শহীদ এ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম ভবন ও বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা কলেজ উদ্বোধন। এছাড়াও কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হল নির্মাণ, শেখ রেহানা হল নির্মাণ, রোজী জামাল হল নির্মাণ, সরকারী আনন্দ মোহন কলেজে ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট ৫ তলা ছাত্র হোস্টেল নির্মাণ, বিদ্যুত বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন।