পঞ্চগড় সদর উপজেলার পানিমাছ পুকুরি এলাকায় নিজের শিশু কন্যাকে মাসের পর মাস ক্রমাগত যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে রফিকুল ইসলাম নামে এক পাষন্ড পিতার বিরুদ্ধে। শিশু টি পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য হাসপাতাল থেকে মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যেতে চাইলে আশপাশের লোকজন তাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।শিশুটির মা জানান, প্রায় ১২ বছর আগে তার সাথে রফিকুলের বিয়ে হয় । রফিকুলের তিনি তৃতীয় স্ত্রী। প্রথম স্ত্রীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ার পর আরো দুজনকে বিয়ে করে সে। তবে পারিবারিক ভাবে তাদের মধ্যে তেমন অমিল ছিলো না।সুখে শান্তিতে সবাই দিন পার করছিলেন। রফিকুলের সংসারে দ্বিতীয় স্ত্রীর দুই ছেলে ও ১১ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। রফিকুল পানিমাছ বাজারে মুদি দোকান করেন।গত বৃহস্পতিবার রাতে রফিকুল নিজ মেয়েকে যৌন হয়রানি করার সময় বিষয়টি দেখে ফেলে শিশুটি’ র মা। পড়ে শিশু টির কাছে জানতে চাইলে সে তাকে জানায় প্রায় ৬ মাস ধরে বিভিন্ন ভাবে যৌন হয়রানি করছে তার বাবা।বিষয় টি জানাজানির ভয়ে রফিকুল ইসলাম ঘরের ভেতরে তার স্ত্রী ও মেয়েকে আটকে রাখে।রোববার রাতে কোনভাবে মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে বাবার বাড়ি যায় ওই নারী। সোমবার সকালে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল মেয়েকে ভর্তি করান।রাতে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য লুকিয়ে মেয়েকে হাসপাতাল থেকে সরানোর সময় হাসপাতালের লোকজন তাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে শিশুটির মা। শিশুটির মা জানায় আগে থেকে আমার স্বামীর চরিত্রগত সমস্যা ছিল। কিন্তু নিজের মেয়ের সাথে এমনটি করতে পারেন তা আমি নিজে না দেখলে কখনো বিশ্বাস করতাম না। আমি এমন মানুষের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. এসএম মাসুদ আনসারি বলেন সকাল ১০ টায় ওই শিশুটিকে যৌন হয়রানির কারণে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার সোয়াব সংগ্রহ করা হয়েছে।এখন পরবর্তী প্রক্রিয়া চলছে।