পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের (কাদিয়ানি) জলসা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করার সময় পুলিশ ও মুসল্লিদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশ, সাংবাদিকসহ প্রায় ১০ জন আহত হয়েছে। শুক্রবার (৩ মার্চ) জুমার নামাজের পর পঞ্চগড় শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে এই সংঘর্ষ শুরু হয়। বিক্ষুব্ধ মুসল্লিদের দিকে লক্ষ্য করে অসংখ্য রাবার বুলেট, টিয়ারশেল এবং কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ। অপরদিকে মুসল্লিারাও ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটেছে। এতে পঞ্চগড় জেলা শহরে এক রণক্ষেত্র সৃষ্টি হয়। এদিকে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের পাশাপাশি র্যাব ও বিজিবিও মোতায়েন করা হয়েছে। মুসল্লিদের দাবি, শেষ নবীকে অস্বীকার করে অন্য কাউকে নবী মেনে কেউ মুসলিম দাবি করতে পারে না। গোলাম আহমদকে নবী মনে করে কাদিয়ানী সম্প্রদায়, তারা কাফের। ইসলামের নামে তাদের কোন জলসা আয়োজন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা মেনে নিতে পারে না। কাজেই তাদের জলসা বন্ধ ঘোষণা করতে হবে। এর আগে, বৃহস্পতিবার একই দাবিতে পঞ্চগড়-তেঁতুলিয়া মহাসড়ক অবরোধ দিয়ে বিক্ষোভ করেন মুসল্লিরা। প্রায় ৫ ঘণ্টাব্যাপী এ অবরোধ চলে। পরে বিকেল ৩টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সফিকুল ইসলাম এসে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং সমঝোতার আশ্বাস দেন। পরে মুসল্লিরা বিক্ষোভ থেকে সরে যান। উল্লেখ্য, প্রতিবছরের মত এবারও পঞ্চগড়ের আহমদ নগরে বার্ষিক সালানা জলসার আয়োজন করেছে আহমদিয়া মুসলিম জামায়াত। তিন দিনব্যাপী এ জলসা শুক্রবার (৩ মার্চ) থেকে শুরু হয়েছে। পুলিশ সুপার এস. এম সিরাজুল হুদা বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের পাশাপাশি র্যাব এবং বিজিবি তৎপর রয়েছে। কোন প্রাণহানি যেন না ঘটে সেদিকেও সোচ্চার রয়েছে প্রশাসন।