মাদারীপুরে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই কিশোরের মধ্যে তর্কের জের ধরে দুই গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষে পাঁচ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে সদরের নয়াচর-মধ্য খাগদীর সীমান্তবর্তী সেতু পাশে সংঘর্ষের এ ঘটনায় পাঁচ জনকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে মাদারীপুর সদরের মধ্য খাগদী এলাকার মনা খানের সঙ্গে নয়াচর এলাকার ফরিদ ফরাজির কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায় দুজনের মারমারি হয়। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে রাতে দুপক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে আব্দুল মন্নান সেতুর দুইপ্রান্তে অবস্থান নেয় পুলিশ। পরে ফাঁকাগুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে পাঁচ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১৫ জন আহত হন। আহতদের জেলা সদর হাসপাতল ও ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত চরমুগরিয়া পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক মো. রোমান বলেন, প্রথমে আমরা দুপক্ষের লোকজনকে সেতু থেকে সরিয়ে দেই। এক সময় সেতুর দুপ্রান্তেই অসংখ্য লোকজন জড়ো হয়ে হটপাটকেল ছোড়া শুরু করে। পুলিশ ফাঁকাগুলি, টিয়ারশেল নিক্ষেপ এবং লাঠিচার্জ করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে পাঁচ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটকরা হলেন- নয়াচর এলাকার মোকসেদ মোল্লার ছেলে মিঠু মোল্লা (২৫), একই গ্রামের আসলাম মোল্লার দুই ছেলে রাসেল মোল্লা (২১) ও রাসেদ মোল্লা (১৮), জাফর মীরের ছেলে হৃদয় মীর (১৪) এবং উজ্জ্বল চৌকিদারের ছেলে অনিক চৌকিদার (১৩)। মাদারীপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা রিয়াদ মাহমুদ বলেন, আহত অনেকেই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলেও গেছেন। এর মধ্যে চার জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মাদারীপুর সদর মডেল থানার ওসি মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, দুপক্ষের সংঘর্ষ থামাতে পাঁচ জন পুলিশ আহত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পাঁচ জনকে আটক করেছে। পরিস্থিতি আপতত স্বাভাবিক। তবে সংঘর্ষের মূলে যারা রয়েছে তাদের ধরতে পুলিশ কাজ শুরু করেছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।