মাদারীপুরের ডাসারে বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় সাংবাদিককে হুমকি। প্রাণনাশের আশংকা থাকায় থানায় সাধারন ডায়েরী করেন ওই সাংবাদিক।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়,গত ২৯ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে ডাসার উপজেলার পূর্ব ডাসারে মালিকানাধীন জায়গায় একটি সেপটিক ট্যাংকি ভাঙ্গেন ডাসার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সারমীন ইয়াছমীন। কারণ জানতে চেয়ে মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট থেকে ১৪ জানুয়ারি ২০২৩ ডাসার উপজেলার ইউএনও সহ মোট ৭ জনের বিরুদ্ধে একটি উকিল নোটিশ প্রদান করেন।
নোটিশ প্রাপ্তরা হলেন- ডাসার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সারমীন ইয়াছমীন, ডাসার ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সজীব মাতুব্বর,পূর্ব ডাসার গ্রামের সৈয়দ আজাদ আলী, সৈয়দ কাওসার হোসেন, সৈয়দ আখতার হোসেন, সৈয়দ আউয়াল হোসেন ও সালেহা বেগম।
মালিকানাধীন জায়গায় সেপটিক ট্যাংকি ভাঙ্গার খবর পেয়ে, সংবাদ প্রকাশের জন্য ডাসার উপজেলাও মাদারীপুর জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সিনিয়র সাংবাদিকগণ হাজির হন,তাঁদের সাথে ডাসার উপজেলার জাতীয় দৈনিক ‘অধিকার‘ পত্রিকার প্রতিনিধি সাংবাদিক মোঃশাহরিয়ার তুহিন উপস্থিত ছিলেন। এরই জেরে আজ সকালে নোটিশ প্রাপ্তদের মধ্যে সৈয়দ কাওসার,সৈয়দ আকতার,সৈয়দ আউয়াল সাংবাদিক মোঃ শাহরিয়ার তুহিনের মামাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ও মারধর করে এবং বলে তুই তোর ভাগিনা কে দিয়ে সাংবাদিক এনে এসব করিয়েছিস তোর ভাগিনাকেও মেরে ফেলবো।
পরে মোঃ শাহরিয়ার তুহিন তাঁর মামাকে মারধরের কারণ জানতে গেলে সৈয়দ কাওসার,সৈয়দ আকতার বলে টার্গেট তো তুই,তুই মাদারীপুর থেকে সাংবাদিক এনে আমাদের নামে সংবাদ প্রকাশ করাইছোস তোরে দেখে নেবো।
এ বিষয়ে সাংবাদিক মোঃশাহরিয়ার তুহিন বলেন,আমি আমার মামাকে মারধরের কারণ জানতে গেলে কাওসার আকতার ওরা বলে তোর মামাকে তো মারছি, কিন্তু টার্গেট তো তুই,তুই কিসের সাংবাদিক তোর খবর আছে তোরে মেরে গুম করে ফেলবো কারণ তুই কেনো আমাদের নামে সংবাদ প্রকাশ করছোস।
তাই নিজের প্রাননাশের আশংকা রয়েছে বিদায় ডাসার থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেছি।
এ বিষয়ে ডাসার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)মোঃহাসানুজ্জামান বলেন,সাংবাদিককে প্রান নাশের হুমকি দেয়ায় থানায় একটি জি.ডি হয়েছে। আমরা তদন্ত পূর্বক আইনি ব্যবস্থা নেবো।