তরুন উদীয়মান নেতা ও বাংলাদেশের কষ্ঠস্বর গাইবান্ধা-১ সুন্দরগঞ্জ আসনের সাংসদ ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারীর ব্যক্তিগত বরাদ্দের অর্থায়ানে এবং উপজেলা পরিষদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে নির্মিত উপজেলা পরিষদ মিনি পার্ক এখন দৃশ্যমান। প্রতিদিন সকাল-বিকাল পার্কের বিভিন্ন খেলার উপকরণ ব্যবহারে মেতে উঠেছে স্থানীয় শিশুরা।
বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে সুনাম ছড়াচ্ছে এই মিনি পার্কটি। পার্কের সাথে উপজেলা পরিষদ পুকুর পাড়ের শোভাবর্ধনের কাজ এগিয়ে চলছে। ইতিমধ্যে মিনি পার্কে স্থাপন করা হয়েছে জাতীয়, বিদ্রোহী কবি ও লালনের ছবি। এছাড়া দোলনাসহ বসার হেলনা ও টুল।
স্থানীয় ব্যবসায়ী মশিউর রহমান আজ থেকে ২০ বছর আগে গাছ-পালা ও জঙ্গলে ভরপুর ছিল উপজেলা পরিষদের গোয়ালের ঘাট বধ্যভুমি। এরপর ওই স্থানে নির্মিত হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও বুদ্ধিজীবী ম্মৃতি স্তম্ভ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি ফলক। এখন নির্মিত হচ্ছে মিনি পার্ক। এরই মধ্যে শিশুদের জন্য গড়ে তোলা হয়েছে খেলার বিভিন্ন উপকরণ। স্থানীয় ছেলে মেয়েরা সকাল বিকাল বিনোদন করছে এই পার্কে।
শিশুদের নিয়ে পার্কে ঘুতে আসা বিলকিছ বেগম জানান, এমপি শামীমের উদ্যোগে গড়ে উঠা মিনি পার্কটিতে এখন প্রতিদিন বাচ্ছাদের নিয়ে ঘুরতে আসতে পেয়ে ভালই লাগছে। আরও বিনোদন উপকরণ এবং পার্কটি বাউন্ডারী দিলে ভাল লাগবে।
পৌর মেয়র আব্দুর রশিদ রেজা সরকার ডাবলু জানান, সাংসদ শামীম পৌর শহরের গোয়ালের ঘাটে মিনি পার্ক নির্মাণের উদ্যোগ নেয়ায় পৌরবাসীর পক্ষ হতে অভিনন্দন। সময় সাপেক্ষে পৌরসভা পার্ক নির্মাণে সহায়তা করবে। আশা করা হচ্ছে অল্প সময়ের মধ্যে পার্ক এবং পুকুর পাড়ের শোভাবর্ধনের কাজ সম্পন্ন হবে।
উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোহাম্মদ আল মারুফ জানান, এমপি স্যারের এবং উপজেলা পরিষদের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় পার্ক এবং পুকুর পাড়ের শোভাবর্ধনের কাজ চলছে। তবে পার্কটিকে পুণাঙ্গরুপে গড়তে হলে সকলের সহযোগিতা এবং আন্তরিকতা একান্ত প্রয়োজন।
সাংসদ শামীম জানান, উপজেলা শহরের প্রাণকেন্দ্রে কোন পার্ক নেই। সে কারনে শহরের শিশুরা বিনোদন হতে বঞ্চিত হয়ে পড়েছে। সেই দিক বিবেচনা করে উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন গোয়ালের ঘাট বধ্যভুমিতে মিনি পার্ক নির্মাণ পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে শিশুদের বিনোদনের জন্য কিছু উপকরণ নির্মাণ করা হয়েছে। তাঁর ব্যক্তিগত বরাদ্দের অর্থায়নে তিনি এটি নির্মাণ করছেন।