বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল বলেছেন, ভাষা সৈনিকদের সঠিক তালিকা প্রণয়ন করা জরুরি। বাংলাদেশের স্বাধীনতার বীজ মূলত মহান ভাষা আন্দোলনে রোপিত হয়ে ছিল। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসের সশস্ত্র সংগ্রমের মাধ্যেমে ১৯৭১ সালে আমরা অর্জন করেছি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। যা বাঙালি জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ ও মহত্তম অর্জন। এই অর্জনের পেছনে প্রাথমিক ধাপে ভাষা সৈনিকদের অসামান্য অবদান রয়েছে। ফলে তাদেরকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও যথাযথ মর্যাদা প্রদান করা অপরিহার্য। সরকারের প্রতি এই বিষয়ে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়ে তিনি আরো বলেন, দেশের অফিস-আদালত, ব্যাংক-বীমা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সর্বক্ষেত্রে বাংলা ও বাংলা সন তারিখ ব্যবহার করার জন্যে সরকারি নির্দেশনার বাস্তবায়ন এবং সকলের সচেতনতা ও আন্তরিকতা প্রয়োজন। ঢাকা অগ্রগামী নাট্যগোষ্ঠীর উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু জন্মশতবর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষে শুক্রবার বিকেলে ঢাকার কাকরাইলস্থ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনন্সটিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত “ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধু ও ভাষাসৈনিকদের অবদান” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে তিনি এই সব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে বাঙালিরা আন্দোলন শুরু করে, পরবর্তীতে এই দাবিতে আন্দোলনরত রফিক, সফিক, জব্বার, সালাম, বরকতসহ অনেকে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান পুলিশের গুলিতে শহীদ হয়। এই দিবসটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপি পালিত হয়ে আসছে। সংগঠনের উপদেষ্টা মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান এর সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় আরো বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ তাঁতীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যকরি সভাপতি সাধনা দাস গুপ্তা, শাহবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক রোজান ইসলাম দিলিপ, বীর মুক্তিযোদ্ধা চলচিত্র পরিচালক মাজাহারুল ইসলাম খোকন, দৈনিক আমার সংগ্রাম পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক শেখ মোহাম্মাদ আলী, সংগঠনের সভাপতি মোঃ মঞ্জুর আলম রাসেল, সাধারণ সম্পাদক নিশি রোজ প্রমুখ।