ঢাকার অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা সদরঘাটের গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এখন বড় আতঙ্ক হলল মশা। ডেঙ্গুর উর্ধ্বগতি যেখানে লাগামহীন সেখানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন থেকে শুরু করে ক্লাসরুম সহ গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর সমূহতে মশা উপদ্রবও লাগামহীন।
বেশির ভাগ ড্রেনে ঢাকনা না থাকা এবং ড্রেনে পানি আটকে থাকায় ক্যাম্পাসে বেড়েছে মশার উপদ্রব। এতে দেশের অন্যতম এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদেরও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা বেড়েছে।
জবি ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের উত্তর দিকের ড্রেন, শিক্ষকদের ডরমিটরি যাওয়ার রাস্তার পাশের ড্রেন, বিজ্ঞান অনুষদ ও প্রশাসনিক ভবনের মাঝের ড্রেন, ভাষা শহীদ রফিক ভবনের পাশের ড্রেন কোনোটিতেই ঢাকনা নেই। এছাড়াও ড্রেনগুলোতে পানি জমে থাকছে। ড্রেনের পানি চলাচল না করায় বদ্ধ পানিতে জন্ম নিচ্ছে এডিস মশা। বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন একাডেমিক ভবনের পেছনের ড্রেনগুলিতেও দেখা যায় বদ্ধ পানি। এছাড়া স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ এবং বিভিন্ন ঝোপঝাড় থাকায় ড্রেনগুলি মশার বংশবিস্তারের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন একাডেমিক ভবনের ছাদের ঢালাইয়ের ফিনিশিং না দেওয়ায় সেখানেও পানি জমে পুরো ছাদে শ্যাওলা জমে রয়েছে। বেশিরভাগ সময় ছাঁদ বন্ধ থাকলেও ছাদে জমা পানিতে বংশবিস্তার করছে মশা। কলা ভবনের সংস্কারকৃত ছাদেও পানি জমে থাকতে দেখা যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ হাজার ৮৭৬ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১২০০ ছাত্রী ‘বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে’ থাকলেও বাকি ১৩ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী পুরান ঢাকার বিভিন্ন মেস বা বাসায় থাকেন। এসব শিক্ষার্থীরা দিনের বেশিরভাগ সময় ক্যাম্পাসে কাটান তাই ক্যাম্পাসে মশার কামড়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করছেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র মেডিকেল সেন্টারে কর্মরতদের থেকে অভিযোগ পাওয়া যায় যে সকালে ও দুপুরের পর মশার উপদ্রবে সেখানে বসে থাকা দায় হয়ে যায়। অ্যারোসল দিয়েও ফল পাওয়া যাচ্ছে না। দশ মিনিটের মধ্যেই আবার যেই সেই পরিস্থিতি।
নিরাপত্তা রক্ষীদের থেকে জানা যায় আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে মশা নিধ্যনের জন্য সিটি করপোরেশনের থেকে লোকজন আসলেও এখন তাদের দেখা খুব একটা পাওয়া যায় না।
ইতোপূর্বে উন্মুক্ত জলাবদ্ধ ড্রেন নিয়ে কথা বলতে গেলে এ দপ্তর সে দপ্তরে খোঁজখোঁজুির জন্য বলা হয়েছে। কিন্তু দেখা যায় নি বিশেষ কোনো পদক্ষেপ নিতে।
এ বিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের অনুরোধ এখন সময়ের দাবী।