মোঃ আব্দুস সাত্তার, দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চারজন শিক্ষক ও এক কর্মচারীকে পিটিয়ে আহত করেছে একই বিভাগের পিয়ন।
আজ (১৬ নভেম্বর) বুধবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে হাবি প্রবি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পিয়ন তাজুল ইসলাম অতর্কিতভাবে একই বিভাগের শিক্ষদের উপর এই হামলা চালায়।
আহতরা হলেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান নাম সহযোগী অধ্যাপক রোকনুজ্জামান রনি, একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বেলাল হোসেন, প্রভাষক নির্মল চন্দ্র রায়, প্রভাষক হারুনুর রশিদ এবং সদ্য যোগদানকারী প্রভাষক মাহবুব রহমান।
আহত শিক্ষকদের দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে অভিযুক্ত ওই কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সেই সঙ্গে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সিনিয়র অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দীন সরকারকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আহত সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক নির্মল চন্দ্র রায় বলেন বুধবার সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৮ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সফরের কথা ছিল। এই শিক্ষা সফরে ছাত্র ছাত্রীদের সাথে দুজন শিক্ষক ও যাওয়ার কথা ছিল। তাই সকাল নয়টার সময় সকল ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষকেরা উপস্থিত হলেও অফিস পিয়ন তাজুল ইসলাম অফিসে আসতে বিলম্ব করায়। আমি নিজেই অফিস পিয়ন তাজুল কে মোবাইল ফোনে তাড়াতাড়ি অফিসে আসার জন্য নির্দেশ প্রদান করি। কিন্তু সে মোবাইলে আমার সাথে খারাপ আচরণ করে এবং কথা বলার এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে মোবাইলের লাইন কেটে দেয়।
কিছু সময় পর তাজুল অফিসে আসলে তাকে মোবাইল ফোনের লাইন কেটে দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি উত্তেজিত হয়ে প্রথমে সদ্য যোগদানকারী শিক্ষক মাহবুব রহমানের মাথায় পানি খাওয়ার মগ দিয়ে আঘাত করে এবং সে রক্তাক্ত অবস্থায় কক্ষে পড়ে গেলে। অন্যান্য শিক্ষকরা এগিয়ে আসলে তাদেরকে ও এলোপাথাড়ি ভাবে পানি খাওয়ার মগ দিয়ে মাথায় আঘাত করে।
এ বিষয়ে হাবিপ্রবি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ( রহমান বলেন অভিযুক্ত কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডের সহযোগী অধ্যাপক ডাক্তার তৌহিদুর রহমান তৌহিদ জানান আহত পাঁচ শিক্ষকে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। তাদের চারজনের মাথায় আঘাত প্রাপ্ত এবং একজনের ঠোট ফেটে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। তারা আগের তুলনায় সবাই সুস্থ রয়েছে।