রেল মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন দেশের সর্বোত্তরের একমাত্র চতুর্দেশীয় স্থলবন্দর বাংলাবান্ধা নিয়ে সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা করা প্রয়োজন। কারণ এই বন্দরটি ভৌগলিক অবস্থানের দিক দিয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অন্যান্য স্থলবন্দরের চেয়েও বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর অনেক বেশি সম্ভাবনাময়। এই বন্দরের সাথে প্রতিবেশি নেপাল, ভূটান, চীন ও ভারতের অবস্থান এর মধ্যে তিন দেশের সাথে যোগাযোগ রয়েছে এবং রেল লাইন পঞ্চগড়-বাংলাবান্ধা হয়ে শিলিগুড়ি সম্প্রসারণের বিষয়ে ভারতের হাইকমিশনার একটি চাহিদার প্রস্তাবও দিয়েছেন। তিনি বলেন বন্দরের অবকাঠামো নির্মাণে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করতে হবে। তিনদিকে সীমান্ত থাকায় এই সম্ভাবনাময় বন্দরের যায়গা অনেক কম। তাই অবকাঠামো সহ অন্যান্য ব্যাপারে দীর্ঘমেয়াদী চিন্তা করতে হবে। এ ব্যাপারে একটি সুনির্দিষ্ট মহাপরিকল্পনা করার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী মহল সহ জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেন। তিনি বলেন সকল উন্নয়ন কার্যক্রম নিয়ে সরকার এখন দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করে কাজ করছে। সরকার দেশের এবং মানুষের উন্নয়ন যাত্রাকে অব্যাহত রাখতে চায়। শনিবার দুপুরে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে এক মত বিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি আরও বলেন পঞ্চগড় থেকে বাংলাবান্ধা পর্যন্ত রেল সম্প্রসারন করা হচ্ছে। এই স্থল বন্দর দিয়ে ভারতের শিলিগুড়ি দিয়ে অন্যান্য দেশে রেল যোগাযোগ স্থাপনের চিন্তাভাবনা চলছে। পঞ্চগড় থেকে বাংলাবান্ধা পর্যন্ত রেল লাইন স্থাপনের প্রকল্প কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে অচিরেই চুড়ান্ত হবে। আশাকরছি আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু হবে। বাংলাবান্ধা পর্যন্ত রেল লাইন সম্প্রসারন হলে এই স্থলবন্দরের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের রাজস্ব আয়ও অনেকাংশে বেড়ে যাবে। তাই আমরা যত দ্রুত সম্ভব বাংলাবান্ধা স্থল বন্দর দিয়ে অন্যান্য দেশের সাথে রেল যোগাযোগ স্থাপন করতে চাই। জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মত বিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদাত সম্রাট প্রমুখ ।