মাদারীপুরে ছাত্রলীগের তিন নেতাকে ছিনতাইকারী উল্লেখ করে ফেসবুকে মানহানিকর পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে, ৪ জন অপপ্রচার কারীর
বিরুদ্ধে ভুলতথ্য দিয়ে বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রচারের অভিযোগে থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। ২৫ আগস্ট ছাত্রলীগ নেতা নোবেল বেপারী বাদী হয়ে সদর থানায় এই লিখিত অভিযোগ জমা দেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে যে, শহরের বটতলা এলাকার নোবেল বেপারী ও তার দুই বন্ধু বাপ্পী বেপারী ও নাজমুল আকন ২০১৫ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি মাদারীপুর সদর থানার মামলা নং ৮৪ তারিখ: ৩০-০৩-২০১৪ইং মূলে গ্রেপ্তার হন। অথচ অনলাইন নিউজ উত্তরাধিকার ৭১ নিউজের স্ক্রীনসট দিয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা ফেসবুকে বিভিন্ন পোস্ট দেয় যে, মাদারীপুরে ৩ ছিনতাইকারী আটক হয়েছে। ফেসবুকে জুবায়ের আকাশ, কাইয়ুম শিকদার, আহম্মেদ মারুফ ও সিএম সাব্বির নামের আইডি থেকে এই মানহানিকর খবর প্রচার করা হয়েছে। এতে ছাত্রলীগের ওই ৩ নেতা রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন এবং ক্ষতির শিকার হয়েছেন। অনলাইন সংবাদমাধ্যম ‘উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ’ মিথ্যা সংবাদ দিয়ে তাদের রাজনৈতিক এবং সামাজিক মান-সম্মানের চরম ক্ষতিসাধন করেছে। এছাড়া বিবাদীগণ তাদের ফেসবুক আইডি দিয়ে পুনরায় পোস্ট দিয়েছে। এই কারণে উত্তারাধিকার ৭১ নিউজ-এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানান ছাত্রলীগের এই ৩ নেতা।
ছাত্রলীগ নেতা নোবেল বেপারী অভিযোগ করে বলেন, ২০১৪ সালের ২৫ মার্চ একটি সংঘর্ষের ঘটনায় আমাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। সদর থানার মামলা নং ৮৪, তারিখ ৩০-০৩-১৪ (জিআর ২২০/১৪) যার ধারা ১৪৩, ৩২৩, ৩২৪, ৩২৬, ৩০৭, ৩৭৯, ৩৮৫, ১১৪ দণ্ডবিধি। এই মামলায় প্রায় ১১ মাস পরে আমাদের গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করে সদর থানা পুলিশ। পরবর্তীতে আমরা জামিনে মুক্তি পাই। মামলাটি এখন বিচারধীন আছে। আমরা ৩ বন্ধু রাজনীতি করি। রাজনৈতিকভাবে আমাদের ঘায়েল করতে মিথ্যা তথ্য দিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদ এবং তা ফেসবুকে প্রচার করেছে। আমাদের গ্রেপ্তারের পর আমাদের তিনজনের ব্যবহৃত নিজস্ব মোবাইল সামনে রেখে ছবি তোলা হয় এবং এরপর তৎকালীন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বরাত দিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রচার হয় উত্তরাধিকার ৭১ নিউজে। সেখানে বলা হয়েছে আমাদের গভীর রাতে মোবাইল ছিনতাইয়ের জন্য আটক করা হয়েছে। অথচ কার মোবাইল ছিনতাই করা হয়েছে তার বা তাদের কোনো অভিযোগ উল্লেখ করা হয়নি। আমরা মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত হলে ছিনতাই মামলা হতো। আমরা গ্রেপ্তার হয়েছি, প্রতিপক্ষের দেয়া একটি হামলা-সংঘর্ষের ঘটনায়। আমাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে ১১ মাস আগে দায়ের করা একটি মামলায়। অথচ মিথ্যা অপপ্রচার করা হয়েছে, ছিনতাইকারী হিসেবে।
আমরা এর তিব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এবং আমাদের সামাজিকভাবে হেয় করার ঘটনার সাথে জড়িতদের কঠিন বিচার দাবী করছি।
ছাতলীগে অপর দু’নেতা বাপ্পী বেপারী ও নাজমুল আকন জানান, ছিনতাইয়ের মত এমন জঘন্য মিথ্যে অভিযোগ তুলে ধরে ছবিসহ প্রকাশ করা হয়েছে ২০১৫ সালে।গত এক সপ্তাহ আগে ফেসবুকে দিয়ে আমাদের সামাজিকভাবে চরম হেয় করেছে। আমরা এর উপযুক্ত বিচার চাই
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ তদন্ত) আব্দুল হান্নানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই ঘটনায় সংশ্লিষ্টরা তাদের মামলার নথি এবং যে মামলায় আটক করে আদালতে পাঠানো হয়েছে তা থানায় জমা দিয়েছে। এতে ছিনতাইয়ের কোনো অভিযোগ নেই, থানায়ও তাদের বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের কোনো মামলা নেই। তাদের আদালতে প্রেরণের নথিতে উল্লেখিত দণ্ডবিধিতে ছিনতাইয়ের কোনো বিষয় নেই। তাই এই বিষয়ে যারা ভূক্তভোগী তাদের অভিযোগ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।