মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার পাইকপাড়া ইউনিয়নের বৈরাগীর বাজার ও ফরিদপুরের ভাংগা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের রাজেশ্বরদী গ্রাম সীমান্তবর্তী মরা কুমার নদ দ্বারা বিভক্ত এলাকায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্য ৭টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত দুই কিশোরের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই ইউনিয়নবাসীদের মধ্যে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ সংঘর্ষে প্রায় নারীসহ প্রায় ৩৫ জন আহত হয় । সংঘর্ষ চলাকালে দোকান ও বসতঘরসহ ৫টি ঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। আহতদের স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ ও এলাকাবাসি জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত রাজৈর ও ভাংগা দুই উপজেলার সীমান্তবর্তী মরা কুমার নদ দ্বারা বিভক্ত ভাংগা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের রাজেশ্বরদী ও রাজৈর উপজেলার পাইকপাড়া ইউনিয়নের বৈরাগীর বাজার এলাকার ব্রীজের উপর কটুক্তি করে কথা বলাকে কেন্দ্র করে দুই এলাকার দুই কিশোর মেহেদী (২০) ও তহিদ (২০) এর মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয় । এ ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে দুই ইউনিয়নের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষ লিপ্ত হয় । ৫ঘন্টা ব্যাপি সংঘর্ষ চলাকালে রাজেশ্বরদী এলাকার দেলোয়ার হাওলাদার ও সাদেক হাওলাদারের দোকান, দুটি বসতঘর ও দুটি রান্নাঘরে অগ্নিসংযোগ করা হলে ৫টি ঘরই সম্পূর্ন ভস্মিভূত হয় । এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের নারীসহ প্রায় ৩৫ জন আহত হয় । আহতদের মধ্যে রহিমা বেগম (২৫), নওসাদ (২), মেরে বেগম (৪০), মফিজুর (১৪), কামাল (৪০), আফজাল (২৮), আলকাজ (৩৫), রাকিবুল (৩৫), আলী (৩৫), আউয়াকে (৩০) সহ অন্যান্যদের স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে । দুই থানার পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। সংঘর্ষ চলাকালে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দিয়েছে দুই চেয়ারম্যান রাজৈর উপজেলার পাইকপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাহাদাত হোসেন ও ভাংগা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সফিউদ্দিন মোল্লা।
মাদারীপুরের রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শেখ মো. সাদী জানান, এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে । পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে । অভিযোগ পেলে আইনহত ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।