পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ. কে. এম এনামুল হক শামীম বলেছেন, জরুরী ভিত্তিতে কোন কাজ করার চেয়ে সরকার এখন গুরুত্ব দিচ্ছে কিভাবে স্থায়ীভাবে প্রকল্প প্রণয়ন করা যায়। সেই লক্ষ্যে নদী ভাঙ্গন রোধে সারাদেশে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা নির্ধারণ করে, পর্যায়ক্রমে স্থায়ী প্রকল্প হাতে নেয়া হচ্ছে।
মাদারীপুরে শুক্রবার সকালে শহর রক্ষা বাঁধের ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শণ ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষকে ত্রাণ সহায়তা প্রদান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
পানি সম্পদ উপমন্ত্রী আরো বলেন, খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলায় ৮ হাজার কোটি টাকা প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। মাদারীপুরের শিবচরেও ৩শ’ ৯৪ কোটি টাকার প্রকল্প এখন টেন্ডারের অপেক্ষায় রয়েছে। এছাড়া মাদারীপুর শহর রক্ষা বাঁধ টেকসট ও মজবুত করতে ইতিমধ্যে টেকনিক্যাল কমিটি করে দেয়া হয়েছে, কমিটিই কাজ বাস্তবায়ন করবে। আগামী বর্ষার আগেই শহর রক্ষা বাঁধ প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের কঠোর হুশিয়ারি দিয়ে পানি সম্পদ উপমন্ত্রী আরো বলেন, এ ব্যাপারে কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা। জেলা প্রশাসনকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, বালু উত্তোলনকারী যতবড় শক্তিশালী লোক হোক না কেন, নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শুক্রবার সকালে মাদারীপুর পৌরসভা সম্মেলন কক্ষে সভা শেষে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে ত্রান সামগ্রী বিতরণ করেন। পরে লঞ্চঘাট এলাকায় শহর রক্ষা বাঁধ পরিদর্শন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান এমপি, জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট ওবায়দুর রহমান কালু খান,পৌর মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ প্রতীম সাহাসহ অনেকেই।