স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলনকারী আ স ম আবদুর রব বলেছেন, ‘১৯৭১ সালে ২৬ মার্চ কেরানীগঞ্জ থেকে আমরা রেডিওতে শহীদ জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণা শুনেছি।’
২২ জুলাই বুধবার স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠক বিএনপি নেতা মরহুম শাহজাহান সিরাজের স্মরণে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় জেএসডির সভাপতি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ অ্যান্ড কমিউনিকেশন (বিএনআরসি) এ সভার আয়োজন করে।
ডাকসুর সাবেক ভিপি ও স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের এই নেতা বলেন, ‘১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে আমি বঙ্গবন্ধুর কাছে যাই। সেই সময় তিনি তার লুঙ্গির ভাঁজ থেকে ১৪ হাজার টাকা বের করে আমাকে দেন। আমি সেই টাকা নিয়ে কেরানীগঞ্জে চলে যাই। পরে সেখানে নিউক্লিয়াসের প্রতিষ্ঠাতা সিরাজুল আলম খান, তোফায়েল আহমেদ, শেখ ফজলুল হক মনি, আব্দুর রাজ্জাকসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ গেছেন। সেখান থেকে আমরা রেডিওতে জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা শুনেছি।’
আ স ম রব বলেন, ‘শাহজাহান সিরাজ সারাজীবন কি করেছেন জানি না, তবে একটা কারণে সারাজীবন এদেশের মানুষের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। ১৯৭১ সালের তেসরা মার্চ তিনি সমস্ত দেশে পাকিস্তানের পতাকা পড়ে স্বাধীন বাংলার পতাকা উঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন এবং সারা দেশের মানুষ তার ডাকে সাড়া দিয়ে সেটা স্বতঃস্ফূর্তভাবে পালন করেছে। এজন্য তিনি সারাজীবন স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘আওয়ামী লীগের অনেকে বলেন, সিরাজুল আলম খান ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুকে দিয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়ার ষড়যন্ত্র করেছিলেন। তাহলে বঙ্গবন্ধু কি স্বাধীনতা চাননি? তাই আমি বলব, স্বাধীনতার চেতনা বিক্রি না করে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরুন।’
ডাকসুর সাবেক ভিপি বলেন, ‘আমরা ১৯৭১ এ স্বাধীনতার জন্য আন্দোলন করেছি। এ মাটি ও পতাকা যতদিন থাকবে ততদিন এদেশে স্বাধীনতার মূল চেতনাবহির্ভূত কোনো কর্মকাণ্ড চলতে পারে না। হয়তো সাময়িক সময় সে আন্দোলন দেখা যাচ্ছে না। তবে সেদিন খুব দূরে নয় যে, এদেশের ছাত্রসমাজ ও কৃষকরা তাদের অধিকার আদায়ে রাজপথে নেমে সকল অপশাসনের অবসান ঘটাবে।’
বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন স্বপনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান মেজর হাফিজসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।