চট্টগ্রাম মিরসরাইয়ের সোনাপাহাড়ে বাংলাদেশ স্টিল রি-রোলিং মিলস (বিএসআরএম) লিমিটেডের কারখানা থেকে একটি তাজা গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়েছে। পরে বুধবার সন্ধ্যায় গ্রেনেডটি সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সদস্যরা নিষ্ক্রিয় করে।
বিএআরএম সোনাপাহাড় কারখানার প্রশাসনিক কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন মোল্লা জানান, বুধবার বিকেল প্রায় ৩টায় শ্রমিকরা কারখানার স্ক্র্যাপের (লোহার ভাঙ্গারি) কাঁচামালের মধ্যে গ্রেনেড সদৃশ একটি বস্তু দেখতে পায়। শ্রমিকরা বিষয়টি বিএসআরএমের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের জানায়। কর্মকর্তারাও বস্তুটি দেখতে পান এবং তারা জোরারগঞ্জ থানা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশের একটি টিম কারখানায় গিয়ে বস্তুটি গ্রেনেড বলে নিশ্চিত হন।
দেলোয়ার হোসেন মোল্লা দেশ রূপান্তরকে আরো জানান, লোহার এসব কাঁচামাল (ভাঙ্গারি) যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, ডেনমার্ক থেকে আমদানি করা হয়। এই স্ক্র্যাপগুলো কোন দেশ থেকে এসেছে তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য বুধবার থেকে বিএসআরএম কর্তৃপক্ষ তদন্ত করছে। আমদানি করা স্ক্র্যাপগুলো এক সঙ্গে একই স্থানে রাখা হয় বলে, গ্রেনেড পাওয়া স্ক্র্যাপগুলো কোন দেশের তা নিশ্চিত হতে সময় লাগছে।
বৃহস্পতিবার এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত গ্রেনেড পাওয়া স্ক্র্যাপগুলো কোন দেশের তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে দেলোয়ার মোল্লা জানান।
সহকারী পুলিশ সুপার (মিরসরাই সার্কেল) মো. শামসুদ্দিন ও জোরারগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হেলাল উদ্দিন ফারুকী বলেন, বুধবার বিকেলে বিএসআরএম কারখানা থেকে জানানো হয় বিদেশ থেকে আনা স্ক্র্যাপের মধ্যে গ্রেনেড সদৃশ একটা বস্তু দেখা যাচ্ছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে রড তৈরির কাঁচামালের মধ্যে আমরাও একটি গ্রেনেড সদৃশ বস্তু দেখতে পাই। বিষয়টি সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের বোম্ব ডিজপোজাল সদস্যদের খবর দেওয়া হলে তারা এসে সন্ধ্যায় গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করে। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।