২৪ বছর পর বাগেরহাট জেলা ছাত্র শিবিরের কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলার স্বাধীনতা উদ্যানে অনুষ্ঠিত এই কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম। এ সময়ে প্রধান অতিথি তার বক্তৃতায় বলেন, একটি ছাত্র সংগঠন নীতি, নৈতিকতা ধ্বংস করতে লিপ্ত হয়েছিল, আর শিবির কর্মীরা প্রত্যেক মায়ের নিরাপত্তা, ইজ্জত, আব্রু ও সম্ভ্রমের দায়িত্ব নিবে। পড়ার টেবিল থেকে আটকের পর জঙ্গী নাটকের তকমা লাগিয়েও ছাত্র শিবির কর্মীদের শেষ করতে পারেনি। এত নির্যাতনের পরও শিবির নেতা- কর্মীরা দেশ থেকে পালাইনি। অথচ দেশ প্রেমিকের তকমা লাগানো নেত্রী নেতা-কর্মী রেখে পালিয়েছে। এখন সকল দলের সহবস্থানে ক্যাম্পাস আবার ভরে উঠুক শিবির সেটাই চাচ্ছে। বাগেরহাট জেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি নাজমুল হাসান সাইফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তৃতা করেন, জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা মাও মশিউর রহমান, কেন্দ্রীয় কলেজ কার্যক্রম সম্পাদক মো.শফিউলাহ, বাগেরহাট জেলা জামায়াতের আমীর মাও রেজাউল করীম, এ্যাডভোকেট আব্দুল ওয়াদুদ, শেখ মোহাম্মদ ইউনুস, হাফেজ আব্দুল আওয়াল, মঞ্জুরুল হক রাহাদ, অধ্যক্ষ আব্দুল আলীম, আধ্যাপক ইকবাল হুসাইন, মাওলানা ইমরান হুসাইন, এনামুল হুসাইন, হাফেজ সুলতান আহমেদ, হাফেজ আ: রশিদ, এডভোকেট বেলায়েত হোসেন সুজা, ডা. আতিয়ার রহমান প্রমূখ নেতৃবৃন্দ। শিবির সভাপতি বলেন, সমাজ, রাষ্ট্রের সকল অভাব পূরনে ছাত্র শিবিরের প্রতিটি নেতার কাজ করতে হবে। আমাদের ইতিহাস, সংস্কৃতিকে ধ্বংস করেছে হাসিনা সরকার। আর এই তত্তাবধায়ক সরকার সেই সংষ্কৃতি নষ্ট করা ব্যক্তিদের প্রশ্রয় দিচ্ছে। হাসিনা বিভিন্ন রুপে ফিরে আসতে চাচ্ছে আবার। শিবির কর্মীদের অতন্ত্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করতে হবে। বিগত সরকারের হাজার কোটি টাকা দূর্নীতি ও সেকেন্ড হোমের প্রতিবাদে শিবির দেশ ব্যাপী সৎ, দক্ষ ও ইনসাফের মানসিকতা সম্পন্ন কর্মী তৈরীতে আত্মনিয়োগ করবে।