ঢাকার বাড্ডা থানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হতাহতের ঘটনায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মামলায় চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ থানার বিএনপি নেতাকেও আসামি করা হয়েছে।
আসামি ফরিদগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের ৯০ দশকের ছাত্রদল নেতা ছিলেন,ও সৌদি আরব পূর্বাঞ্চল দান্মাম মহানগর বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন, জাহাঙ্গীর আলম এর বাবা মকবুল আহমেদ ১৯৭৮ সাল থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত ফরিদগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ছিলেন,এদিকে মামলার বাদী মনিরুজ্জামান আসামি জাহাঙ্গীর আলম অপুকে চেনেন না বলে দাবি করেছেন।
বাদী মিজানুর রহমান আরো জানান,,উক্ত মামলায় আরো কিছু নিরহ ব্যক্তিকে এজাহারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে,৩৯ নং আসামি কামাল হোসেন পিতা মৃত-রফিজ উদ্দিন,৪৩ নং আসামি আব্দুল হালিম ওরফে লম্বা হালিম,পিতা মরতুজ আলী,৪৪ নং আসামি আলাল উদ্দিন,পিতা কফিল উদ্দিন,এই সকল আসামিদের বাড়ি সাভার আশুলিয়াতে আমি তাদেরকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি না,এবং মামলা আসামি করার বিষয়ে অবগত না, কে বা কাহারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ভাবে পূর্ব শত্রুতার জেরে এই সকল ব্যক্তিকে মামলা এজাহার নাম অন্তর্ভুক্ত করেছেন।
এ বিষয়ে বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলম অপু জানান,, রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য এই মামলায় আমাকে জড়ান।এসব ষড়যন্ত্রের রহস্য উদঘাটন করে এই কুচক্র মহলকে আইনের আওতায় আনার জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
ফরিদগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি শরিফ মোঃ ইউনুছ বলেন, জাহাঙ্গীর হোসেন অপু বিএনপির একজন নিবেদিত কর্মী। আমরা তার জন্য প্রয়োজনে উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে প্রত্যয়নপত্র দিয়েছি এবং প্রয়োজনে জেলা বিএনপিকে উক্ত মামলার বিষয় অবগত করবো।
বাড্ডা থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন,মামলা নং ১৬(১০)২৪ আদালতে দায়ের করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে মামলাটি আমরা এজাহারভুক্ত করি।মামলার বিষয়ে মামলার তদন্তকারী ইন্সপেক্টর এর সাথে কথা বলে,বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।